অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, গত কয়েকদিনে মধ্যপ্রদেশে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বিবেক তনখাঁ ট্যুইটারে লেখেন, ‘সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশের শাদলে অক্সিজেনের অভাবে ১৬ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত ভয় ও হৃদয় বিদারক ঘটনা। এভাবে কেন আমাদের জনগণকে মরতে হবে?’
অক্সিজেনের অভাবের মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী বিভাস কৈলাস সারং। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের অক্সিজেন ট্যাঙ্কার বহনকারী গাড়িগুলিকে অ্যাম্বুলেন্সের তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটা হাসপাতালে যাতে দ্রুত অক্সিজেন পৌছে যেতে পারে সেজন্য গ্রিন করিডর করা হয়েছে। মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বদ্ধপরিকর। মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডাঃ মিলিন্দ শিরলকার বলেন, শনিবার রাতে আইসিইউতে শুধুমাত্র ছ’জন প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও, অক্সিজেন অভাব তার কারণ নয়। শনিবার সবমিলিয়ে ২৫৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫৫ জনের অক্সিজেন সাপোর্ট লাগে। একইভাবে শাদলের জেলাশাসক সত্যেন্দ্র সিংও অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর খবর নস্যাৎ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মেডিক্যাল কলেজে সবসময় ব্যাক আপ হিসেবে বিশাল একটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার রাখা থাকে। সেই জাম্ব সিলিন্ডারের সরবরাহ রয়েছে।’
তবে, আত্মীয়দের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছে মৃতদের পরিবার। এক আত্মীয়ের কথায়, শনিবার রাতে অক্সিজেন লেভেল ৯১ শতাংশ ছিল। সকালে তাঁরা বলেন, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছে। আমাদের কেবিনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জোর করে ঢুকে দেখি, মৃতদেহ ঠান্ডা হয়ে রয়েছে। এটা হাসপাতালের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। অন্য একজন বলেন, রাত ১২টায় খাবার দিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে গিয়ে ছিলাম। সকাল ছ’টায় বলা হয়, রোগী মারা গিয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী আমাদের বলে, অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে।