উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
শুক্রবার ক্রু ও যাত্রী সহ ১৯০ জনকে নিয়ে কোঝিকোড় ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়ার দুবাই-কালিকট বিমানটি (আইএক্স-১৩৪৪)। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে ওই বিমানে ১০ শিশু সহ ১৮৪ জন যাত্রী, দু’জন চালক ও চারজন বিমানকর্মী ছিলেন। ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে দুবাই থেকে ভারতীয়দের নিয়ে ফিরছিল বিমানটি। সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণের পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৩৫ ফুট খাদের নীচে পড়ে যায়। গত তিন-চারদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে কেরলে। তাতেই পিছল হয়ে ছিল রানওয়ে। বিমানটি রানওয়ে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিছনের চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এক বিবৃতিতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন একথা জানিয়েছে। বিমানের সামনের অংশ ভেঙে দু’ভাগ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ২৪টি অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলবাহিনী-সহ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনার শোক জানিয়ে বেশি রাতে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ‘সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে জখমদের চিকিৎসা চলছে।’
রিয়াজ নামে উদ্ধার হওয়া এক যাত্রী বলেন, ‘বিমানটি অবতরণের আগে দু’বার চক্কর খেয়েছিল। কিন্তু, নামার সময় বিকট শব্দ হয়।’ অপর এক যাত্রী ফতিমা বলেন, ‘বিমানটি দ্রুত গতিতে রানওয়েতে নেমেছিল।’ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে পরিস্থিতির খোঁজ নেন তিনি। ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লেখেন, ‘কোঝিকো়ড়ে এই দুঃখজনক দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি ব্যথিত। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলের পৌঁছে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।’ শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী। আরব আমিরশাহিতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর শুক্রবারকে ‘ট্রাজিক ডে’ আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, প্রথমে মুন্নারে ভূমিধসে মৃত্যু। আর এখন এই দুর্ঘটনা।