উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতীতে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা উন্নত ছিল না। সেইসময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব রেল কর্মী বদলি হয়ে যেতেন কিংবা নির্ধারিত নির্ঘণ্টের পরেও ফিল্ডে কাজ করতেন, তাঁদের সঙ্গে এই টেলিফোন অ্যাটেনডেন্ট-কাম-ডাক খালাসিদের পাঠানো হতো। তাঁরা যেমন রেলের উচ্চপদস্থ কর্মীর পরিবারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখতেন, তেমনই ওই রেল কর্মীর ফোন কল রিসিভ করা কিংবা ফাইল, নথিপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও করতেন। পরবর্তীকালে কিছু ক্ষেত্রে এই পদে কর্মরতরা যেমন টিকিট পরীক্ষা করেছেন, তেমনই মালবাহক, রাঁধুনির কাজও করেছেন। তারও পরে পর্যায়ক্রমে এঁদের অফিস পিওন বা বাংলো পিওনের তকমাও দেওয়া হয়। প্রথমে রেলের অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগ দিলেও তিন বছর পর কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে তাঁদের গ্রুপ ডি স্টাফের মর্যাদা দেওয়া হতো।
রেল বোর্ড জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকেই এই পদটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনাধীন ছিল। ওই বছরই যুগ্ম-সচিব স্তরের একটি নয় সদস্যের কমিটিও গঠন করে রেল বোর্ড। সেই কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এরকম পদক্ষেপ করতে কেন ছয় বছর লেগে গেল, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারতীয় রেলে বাংলো পিওন হিসেবে কর্মরত আছেন অন্তত কয়েক হাজার। তবে পদটি উঠে গেলেও যাঁরা ইতিমধ্যেই কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের কাজ হারানোর কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে রেল।