উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
অনেক সময়ই দেখা যায়, ডিজিটাল লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর নিষ্পত্তি হতেই দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ সেখানে গ্রাহকের কিছুই করার নেই। সেই সমস্যার সমাধানেই উদ্যোগী হয়েছে আরবিআই। তারা জানিয়েছে, ঘড়ি ধরে মেটাতে হবে গ্রাহকের অভিযোগ। ডিজিটাল লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ ও তার নিষ্পত্তির যে অনলাইন সিস্টেম চালু হতে চলেছে, সেখানে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি। অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য কতটা সময় দেওয়া হবে, তাও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যেমন, এটিএমে টাকা তোলার সময় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হয়ে গেল, অথচ গ্রাহক তা হাতে পেলেন না। এমন হলে পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে অ্যাকাউন্টে। কার্ড মাধ্যমে টাকা পাঠাতে গিয়েও কখনও একই সমস্যা হয়। অর্থাৎ, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যায়, কিন্তু অন্য কার্ডে সেই টাকা পৌঁছয় না। সেক্ষেত্রেও লেনদেনের পর একদিনের মধ্যে টাকা ফেরাতে হবে। আবার কেনাকাটা করতে গিয়ে দেখা গেল, কার্ড সোয়াইপ হয়েছে। অথচ পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিন থেকে রসিদ বের হয়নি। মানে, লেনদেনটি সম্পূর্ণ হয়নি। তাহলে পাঁচ দিনে টাকা ফেরাতে হবে ক্রেতার অ্যাকাউন্টে। অ্যাপভিত্তিক পেমেন্ট বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট সিস্টেম বা ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে গেল, কিন্তু যাঁকে পাঠানো হচ্ছে তাঁর অ্যাকাউন্টে পৌঁছল না... তাহলে এক দিনের মধ্যে টাকা ফেরাতে হবে। আধার ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমগুলির পরিষেবায় লেনদেন সম্পূর্ণ না হওয়ার অভিযোগ পেলেও একদিনের মধ্যে সুরাহা করার নির্দেশিকা জারি করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট করে দেওয়া এই সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে ক্ষতিপূরণ বাড়বে চড়চড়িয়ে। যত দিন দেরি হবে, তার প্রত্যেক দিনের জন্য ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক।
ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা সংস্থাগুলিকে আরবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, এই অনলাইন সিস্টেমটি যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। পরিষেবাটি হবে স্বচ্ছ। এবং যতটা সম্ভব সয়ংক্রিয়। যেখানে মানুষের কোনও ভূমিকা থাকবে না। যদি থাকেও, তা হবে ন্যূনতম। গোটা প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হলেও গ্রাহকের অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে ‘অফলাইন’ অভিযোগ ব্যবস্থাও রাখতে হবে। অর্থাৎ কাগজে দরখাস্ত লিখে, এসএমএস, আইভিআরএস বা কলসেন্টারের মাধ্যমে অভিযোগের সুযোগ রাখতে হবে। নিষ্পত্তির কাজ কতটা এগল, তা যাতে গ্রাহক জানতে পারেন বা ট্র্যাক রাখতে পারেন, দিতে হবে সেই সুযোগও। এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, সব সংস্থাই এই পরিষেবা চালু করবে... চলতি বছরের মধ্যেই।