উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
তবে ত্রিভাষা সূত্র নিয়ে মোদি এদিন কোনও প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি। অর্থাৎ মাতৃভাষা ও ইংরাজির পাশাপাশি আর একটি আঞ্চলিক ভাষাও পড়তে হবে বলে যে নতুন ফর্মুলা নেওয়া হচ্ছে, সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন সেই বিষয়টিকে। দেশজুড়ে বিতর্ক সত্ত্বেও। তবে প্রধানমন্ত্রী আভাস দিয়েছেন শিক্ষা নীতির সংশোধন করার অনেকটাই অবকাশ রয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আয়োজিত একটি কনক্লেভে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজ্য সরকার, এখন থেকেই তাদের প্রস্তাব, সুপারিশ ও সমাধান নিয়ে আলোচনা শুরু করুক এবং পাঠাক দিল্লিতে। সকলের সুপারিশ ও পরামর্শ গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করার পর শুক্রবারই মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল দেশের তাবৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজ্যগুলিকে বলেছেন গঠনমূলক প্রস্তাব ও সুপারিশ পাঠাতে। মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, দেড় মাসের মধ্যেই সুপারিশ পাঠাতে হবে। কারণ, কীভাবে শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হবে, সেই সিদ্ধান্তের রূপরেখা এক-দেড় মাসের মধ্যেই স্থির হবে। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেছেন, এতদিন শিক্ষা ব্যবস্থা শিখিয়েছে ‘কী ভাবতে হবে’? আর এখন আমাদের এই নতুন শিক্ষানীতি শেখাবে ‘কীভাবে ভাবতে হবে’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বশাসন দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন মোদি। বলেছেন, কেউ কেউ চান সরকার কোনও প্রতিষ্ঠান চালাবে না। সবই স্বশাসিত হোক। আবার কারও মনে হয়, সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। আমরা মধ্যপন্থা নিয়ে চলব। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামগ্রিকভাবে সাফল্য দেখাতে পারবে, তাদের ধীরে ধীরে স্বশাসন দেওয়া হবে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের। শিক্ষানীতির অন্যতম অঙ্গ হতে চলেছে শিক্ষকদেরই প্রশিক্ষণ। নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীকে কীভাবে পড়ানো উচিত, সেটাও জানা দরকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি মনে করেন, শিক্ষাগ্রহণের পর ছাত্রছাত্রীরা যাতে কর্মসংস্থানের যে কোনও সেক্টরেই অগ্রসর হতে পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে এই শিক্ষানীতিতে। অর্থাৎ একজন কর্মপ্রার্থী একটি মাত্র সেক্টরেই কাজ করতে সক্ষম, অন্য সেক্টরে সে অচল, এরকম যেন না হয়।
নয়া শিক্ষানীতির ভাষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলছে বহু রাজ্য। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ—সকলেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেছে। ত্রিভাষা সূত্র থেকে কেন্দ্র যাতে সরে আসে, এই দাবি উঠছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে।