সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সভাপতি ডি কে বারুচ ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়া ইজ ইন্ডিয়া’ (ইন্দিরাই ভারত এবং ভারতই ইন্দিরা) স্লোগান তুলেছিলেন। একইরকমভাবে ‘মোদি ইজ বিজেপি এবং বিজেপি ইজ মোদি’ (মোদিই বিজেপি এবং বিজেপিই মোদি) হয়ে উঠেছে কি না সেই প্রশ্নও করা হয় গাদকারিকে। যার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন,‘দল হিসেবে বিজেপি কখনই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হতে পারে না। এটি একটি আদর্শবাদী দল। বিজেপিতে কোনও পরিবারের শাসন চলে না। দল মোদিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে একথা একেবারেই ভুল। দলের সংসদীয় বোর্ডই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়।’
তাহলে এই অভিযোগ উঠছে কেন? সেই প্রসঙ্গে গাদকারি আরও বলেন, ‘যদি কোনও দল শক্তিশালী হয়, কিন্তু তাদের নেতা দুর্বল হলে নির্বাচন জেতা যায় না। একইভাবে বলা যায়, নেতা শক্তিশালী হলেও দল যদি দুর্বল হয়, তাহলেও ভোটে জয় অধরাই থাকে। কিন্তু হ্যাঁ, একজন জনপ্রিয় নেতা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে আসেন।’ মোদিও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম নন, বলেই তাঁর অভিমত। একইসঙ্গে, জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখেই এবার বিজেপি ভোটে লড়ছে সেই দাবিকেও খারিজ করে দিয়েছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, জাতীয়তা আমাদের আত্মা। কিন্তু ভালো প্রশাসন এবং উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। এবারের নির্বাচনে বিরোধীরা জাতপাত এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষ ঢুকিয়ে বিজেপির উন্নয়নের এজেন্ডাকে আটকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।
এবারে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা। তবে তাঁরা এটিকে ইস্যু বানাননি বলেই দাবি গাদকারির। তাঁর মতে, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক এর আগেও প্রতিটি নির্বাচনের অংশ ছিল। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। ফলে দেশের নিরাপত্তার ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলাকে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা বলেও মানতে রাজি নন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এমন হামলা হয়েছে। কেউই সেগুলিকে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা হিসেবে দেখেনি। অন্যদিকে, কেন্দ্রে এবার বিজেপিই সরকার গড়বে, সেসম্পর্কে নিশ্চিত গাদকারি।