সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এবারের তিন নিট পরীক্ষার্থী, নদীয়ার দিগম্বরপুরের প্রদীপ হালদার, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সুশান্ত প্রামাণিক এবং ওই জেলারই সবংয়ের অনিমেষ অধিকারী উচ্চ আদালতের কাছে এই মর্মে আপিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৫ মে নিটের দিন হাম্পি এক্সপ্রেস ছ’ঘণ্টা লেট করায় কর্ণাটকের প্রায় ৫০০ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারেননি। একইভাবে ভিন্ন ভাষার প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন শিলিগুড়ির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিট পরীক্ষার্থীরাও। ২০ মে ওড়িশার পাশাপাশি তাই কর্ণাটকের ওই ৫০০ পরীক্ষার্থী এবং শিলিগুড়ির সেই সুর্নিদিষ্ট সেন্টারের পরীক্ষার্থীদেরও নিটে বসার সুযোগ দিয়েছে এনটিএ।
মামলাকারীদের বক্তব্য, এক, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী, নিট বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে দেশজুড়ে একটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুই, ২০১৯ সালের নিটের পাবলিক নোটিসেও বলা হয়েছিল, দেশের ১১টি ভাষায় একই প্রশ্নপত্রে একই দিনে নিট নেওয়ার কথা। তিন, ২২ অক্টোবর প্রকাশিত এ বছরের নিটের ইনফরমেশন বুলেটিনেও একই কথা বলা হয়েছে। চার, ২০১৩ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ৫ মে সারা দেশে এবং ১৮ মে শুধু কর্ণাটকে নিট পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, দুই পরীক্ষার মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রশ্ন একই। বাকি ৫০ শতাংশ প্রশ্নও কমবেশি একই জায়গা থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসেছে। পাঁচ, সুপ্রিম কোর্ট একাধিক মামলায় মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধাকেই প্রাধান্য দিতে বলেছে। দু’দিন নিট হলে কীভাবে তা সম্ভব হবে? আলাদা প্রশ্ন সম্ভব নয়। আর একই প্রশ্ন হলে, মেধা কীভাবে প্রাধান্য পাবে? দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষার ছাত্রছাত্রীরা তো অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যাবেন। ছয়, ফণীর জন্য শুধুমাত্র ওড়িশা নয়, ৫ মে আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে আসতে প্রভূত অসুবিধা হয়। যানবাহন-যোগাযোগের সমস্যায় অনেকে পরীক্ষায় বসতেও পারেননি। অথচ তাঁদের জন্য নিটে দ্বিতীয়বার বসার ব্যবস্থা রাখেনি এনটিএ। সামগ্রিকভাব এনটিএ’র এই কাজে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সাত, এমন হতে পারে, আশঙ্কা করেই ৫ মে’র বদলে নিটের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সরকার অবশ্য তাতে সাড়া দেয়নি।