সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
টাইম ম্যাগাজিনের ২০ মের আন্তর্জাতিক সংস্করণের কভার স্টোরি করা হয়েছে মোদির উপর। ‘ভারতের বিভাজনের মূল কারিগর’ শীর্ষক নিবন্ধটি লিখেছেন আতীশ তাসির। তিনি ভারতীয় সাংবাদিক তাভলিন সিং ও প্রয়াত পাক রাজনীতিবিদ তথা ব্যবসায়ী সলমন তাসিরের পুত্র। আতীশ তাসিরের মূল নিবন্ধটির পাশাপাশি মোদির উপর আরও একটি লেখা ছাপা হয়েছে। সেটির শিরোনাম ‘সংস্কারক মোদি’। লিখেছেন ইয়ান ব্রেমার। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে গবেষণার কাজ চালানো ইউরেশিয়া গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট। তবে ভোটের বাজারে সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে তাসিরের লেখাটি নিয়ে। পত্রিকার ভিতরে এই লেখাটির শিরোনাম করা হয়েছে, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র কি আরও পাঁচ বছর মোদি সরকারকে সহ্য করতে পারবে?’ নিবন্ধটিতে মোদির ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ২০১৪ সালে তিনি (মোদি) ছিলেন একজন মসিহার মতো। যিনি এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাতে চাইছেন। আর এখন তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়া নিছক এক রাজনীতিবিদ, যিনি ফের জিতে আসতে চাইছেন। ২০১৪ সালে তিনি চাকরি ও উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। সেবারের নির্বাচন নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। যদিও এখন সেসব আর বিশ্বাস করা কঠিন। মোদির ‘অর্থনৈতিক মিরাকেল’ ব্যর্থ হয়েছে। তার সঙ্গেই তিনি ভারতে বিষাক্ত ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছেন। প্রত্যেকের জন্য উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি মোদি দিয়েছিলেন, তা থেকে এখন তিনি অনেক দূরে। বরং তিনি এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যেখানে ক্রমেই ভারতীয়দের মধ্যে বিভাজনের মানসিকতা বাড়ছে। মোদি আমলে উদারপন্থী মানুষ থেকে শুরু করে দলিত, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।
মোদির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি তাসির। তিনি লিখেছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দাদা রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড় করানো ছাড়া কংগ্রেসের আর কোনও রাজনৈতিক ভাবনা নেই। মোদি ভাগ্যবান এত দুর্বল বিরোধী থাকার জন্য। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছন্নছাড়া বিরোধী শিবিরের মোদিকে হারানো ছাড়া আর কোনও এজেন্ডা নেই।