কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
রাজ্য পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল, বারাকপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে বেউরে হানা দেওয়া হয়েছিল। রানিগঞ্জের একটি স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির মামলাও রয়েছে সুবোধের বিরুদ্ধে। তাই প্রথমে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হবে তাকে। আগামী ৩ জুলাই (বুধবার) বিহারের গ্যাংস্টারকে বিচারকের সামনে পেশ করবে সিআইডি। পুলিসের ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সুবোধকে জেরা করে এরাজ্যে বিশেষ করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তার নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক সাহচর্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।
গত ছ’বছর ধরে পাটনার বেউর জেলকে ‘খাসতালুক’ বানিয়ে লুট, অপহরণ, খুন, ডাকাতির অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল সুবোধ সিং। তাতে চিড় ধরানোর বিস্তর চেষ্টা দেশের সাতটি রাজ্যের পুলিস নিরন্তর চালিয়ে গিয়েছে। এমনকী প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট নিয়ে পৌঁছেও, বেউর জেল থেকে বের করা যায়নি এই গ্যাংস্টারকে। বরং নিজের ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক স্বর্ণ বিপণি, স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি, ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়, তোলা না পেয়ে শ্যুটআউটের মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলছিল। এমনকী পুলিসের সামনেই ফোন করে হুমকি দেওয়ার মতো দুঃসাহসিক ঘটনাও ঘটিয়েছিল সুবোধ। কয়েকদিন আগে সেরকমই এক হুমকি ফোনে সুবোধ জানিয়েছিল, বারাকপুরের এক রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীকে ‘খতম’ করার জন্য তাকে সুপারি দিয়েছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন এই বিজেপি নেতা। সুবোধ হেফাজতে আসায়, এবার সেই প্রসঙ্গটিও সামনে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় সমস্তিপুর থেকে রবীন্দ্র সাহানি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তার বিরুদ্ধে গোটা দেশজুড়ে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। এরাজ্যে বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনাতেও সে যুক্ত। পুলিস জানিয়েছে, রবীন্দ্র নিজেও একজন পেশাদার অপরাধী। তার একটি গ্যাংও রয়েছে। সুবোধের কাছ থেকে ডাকাতির বরাত পেত সে। সুবোধের নির্দেশেই ডোমজুড়ের অপারেশন করার কথা রবীন্দ্র জেরায় স্বীকারও করেছে। তাতেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহলে।