অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তৃণমূলনেত্রী এদিন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, গোবরডাঙা, নদীয়ার তেহট্ট এবং ধুবুলিয়ায় জনসভা করেন। প্রতিটি জায়গায় ভিড় উপচে পড়েছিল। খড়দহে বিজেপির ডবল ইঞ্জিনকে তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, আমরা তো ডজন ডজন ইঞ্জিনের সরকার গড়ে দিয়েছি। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পগুলিই এক-একটি ইঞ্জিন। আমাদের একটি ভোট দিন, সব প্যাকেজ একসঙ্গে নিন।’ করোনার সময় কেন্দ্র একদিনের মাইনে কমিয়ে দিয়েছে বলেও এদিন সরব হন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের কাছে তাই তাঁর আর্জি, বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সতর্ক করেছেন মমতা। বলেছেন, ‘বিজেপির ইশারায় চলবেন না। বিজেপির কথাও শুনবেন না। বাংলায় বিজেপি জিতছে না।’ তারপরই প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘মোদি-অমিত শাহ বাংলাকে দেশপ্রেম শেখাবেন না। এই বাংলাই স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। তোমাদের থেকে বাংলার দেশপ্রেম অনেক বেশি। এই বাংলা সংস্কৃতি, সম্প্রীতির জন্ম দিয়েছে। আমরা সবাই এখানে একসঙ্গে বসবাস করি।’
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দাঁড়িয়ে নাম না করেই অর্জুন সিংকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, লোকসভায় জিতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। গদ্দার এমপি’টার বাড়ির নাম মজদুর ভবন। ওখান থেকে শুধু বোমা মারে। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে তোলবাজ বলেন। এ কতবড় তোলাবাজ জানেন? পরে গোবরডাঙায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন মতুয়াদের। তিনি বলেন, ‘যখন ঠাকুরবাড়ি কেউ চিনত না, তখন বড়মার কাছে যেতাম। অসুস্থ হলে আমিই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতাম। মতুয়া বিকাশ পর্ষদ, নমঃশূদ্র পর্ষদ, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি, কলেজ, হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় সহ যতটা সম্ভব কাজ করেছি। বিজেপির মতো মিথ্যে বলে ভোট চাইব না।’ এরপরই সরাসরি বিজেপির নাগরিকত্ব দেওয়ার রাজনীতিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা। বলেছেন, ‘ওরা ভোটের সময় নাগরিকত্ব দেবে বলছে। কীসের নাগরিকত্ব? আপনারা সবাই তো নাগরিক। যদি নাগরিক না হন, তাহলে আপনাদের জমিবাড়ি, পড়াশুনা, স্কুলকলেজে যাওয়া, চাকরি-ব্যবসা, দোকানদারি এখানে হল কী করে! ওরা (বিজেপি) কী নাগরিকত্ব দেবে! সারা বছর মতুয়াদের খোঁজ করে? একটা গোঁসাই, দলপতি কিংবা মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকে তো টিকিট দাওনি?’ তাঁর কথায়, ‘নরোত্তম বিশ্বাস মতুয়া সমাজের আদি লোক। তাই টিকিট দিয়েছি। বড়মা আমাকে বলেছিলেন, আমার অবর্তমানে তুমি মতুয়াদের দেখো। আমি মতুয়াদের উন্নয়নে সবকিছু করব।’ মমতার গলায় জয় হরিচাঁদ ঠাকুরের জয় ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের জয়ধ্বনি শোনামাত্র জনতা উচ্ছ্বাসে ভেসে যায়।
ধুবুলিয়ায় মমতার নিশানায় ছিল এনআরসি। তিনি বলেন, অসমে ভোট নেওয়ার পরই তাঁদের ‘ডি’ ভোটারের নোটিস দিচ্ছে। বিজেপি ভোট নেবে আর সবাইকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে। আমি চাই, আপনারা সকলেই নাগরিক থাকুন।