অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
তবে এখনও এভাবে এলাকাভিত্তিক কড়া নজরদারি ও বিধিনিষেধ লাগু না হলেও ধাপে ধাপে একাধিক নিয়মকানুন চালু করছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। হাওড়া সিটি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শপিং মল, বাজার এলাকায় কেনাকাটার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে তারা। দোকানে দোকানে ‘নো মাস্ক নো সেল’ বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো, ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য ৬ ফুট অন্তর দাগ কেটে দেওয়া, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও কোনও বাজার সমিতি চাইলে ৫০ শতাংশ করে দোকান একদিন খোলা ও বন্ধ রাখতে পারে বলেও পুলিসের তরফে দেওয়া ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে। বিক্রেতারা তাদের মতো করে ‘হোম ডেলিভারি’ পরিষেবা দিতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা আরও জানান, টেলিমেডিসিন পরিষেবাকে হাওড়া পুরসভা এলাকাতে তো বটেই, গ্রামাঞ্চলেও ফের শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার সক্রিয় করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার ব্যবস্থা করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন পরিষেবায় বেশি রোগী যদি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন, সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সেই কথা মাথায় রেখে এগচ্ছে প্রশাসন। এখন থেকেই করোনা রোগীদের প্রত্যেকের বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফোন করে খোঁজখবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, বালিটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে ৬০০টি করোনা শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া টি এল জয়সওয়াল হাসপাতাল এবং ঘুসুড়ির সত্যবালা আইডি হাসপাতালে শতাধিক করোনা শয্যা রয়েছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরও শয্যার ব্যবস্থা কীভাবে করা হবে, তা এখন থেকেই ভাবছেন প্রশাসনের কর্তারা।