অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
সরকারি কর্মীদের একটা অংশ এখন ভোটের কাজে যুক্ত। প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও টানা ভোটের কাজে যুক্ত আছেন অনেক কর্মী। ভোট প্রচার, ভোটের খরচ প্রভৃতির উপর নজরদারি সহ বিভিন্ন কাজ করতে হয় ওই কর্মীদের। যে সব এলাকায় এখনও ভোট হয়নি, সেখানে নির্বাচনী অফিসগুলিতে কর্মীদের হাজিরায় নিয়ন্ত্রণ আনার তেমন সুযোগ নেই বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। আবার যাঁরা টানা ভোটের কাজে যুক্ত, এমন কর্মীদের অধিকাংশকেই কমিশন উদ্যোগ নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। ফলে ওই কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যেই কাজ করছেন। কয়েক মাস আগে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের নামের তালিকা চেয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়। দপ্তর থেকে নামও পাঠানো হয়। বেশ কিছু কর্মী মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েও এসেছেন। কিন্তু এখনও কর্মীদের একটা বড় অংশ ভ্যাকসিন পায়নি বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি অফিসে কর্মী সংখ্যা কমাতে হচ্ছে। ডেপুটি সেক্রেটারি ও সমতুল আধিকারিকদের অবশ্য আগেও প্রতিদিন অফিস আসা বাধ্যতামূলক ছিল। এবার এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ বি কর্মীদের নিয়েই মূলত রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।
লকডাউন পর্বে কম সংখ্যক সরকারি কর্মী নিয়ে কাজ চালানোর সময় সরকারি খরচের বিল অনলাইনে ট্রেজারি এবং পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে অনুমোদন করার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কর্মীদের বেতন-ভাতা সহ অন্যান্য খরচের বিল অফিসগুলি অনলাইনেই ট্রেজারিতে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। একইভাবে সে সব অনুমোদন করা হচ্ছিল। পরে করোনা সংক্রমণ খানিকটা হ্রাস পাওয়ায় সরকারি অফিসগুলিতে কাজকর্ম মোটামুটি স্বাভাবিক হয়। ফের অফলাইনে বিল পাঠানো চালু হয়। এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি না হলেও কিছুদিনের মধ্যে ফের অনলাইনে বিল পাঠানো শুরু হবে কর্মিমহল মনে করছে।
লকডাউনের সময় সরকারি কর্মীদের একটা অংশ বাড়িতে বসেই অনলাইনে কাজ করেছেন। অনেক দপ্তর তাদের নির্দেশিকায় বাড়িতে থাকা কর্মীদের অনলাইনে বা টেলিফোনের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এবারও অর্থ দপ্তরের বাণিজ্য কর ডিরেক্টরেট যে গাইডলাইন জারি করেছে, তাতে একথার উল্লেখ করা হয়েছে। কর্মিমহলের বক্তব্য, সব দপ্তরে ই-ফাইল ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে ফাইলের কাজও বাড়ি থেকেই করা যেতে পারে।