কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষনগর দুধপুকুর মোড় সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিবারের গৃহবধূ প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। চলতি মাসের ৬ তারিখে মারণ ভাইরাস তাঁর জীবন কেড়ে নেয়। করোনায় আক্রান্ত হন তাঁর স্বামী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মী। সংক্রমণের জেরে তাঁর ৮৫ বছরের মা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যিনি বিছানায় শয্যাশায়ী। একাকী হাঁটাচলা করার ক্ষমতা নেই। পরিবারে আর কোনও লোকজন না থাকায় বৃদ্ধাকে দেখভাল করবে কে, এই প্রশ্নটা উঠে আসে। এমনকী একই পরিবারের তিন জন আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার অনেকের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়ায়। দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছয়। পুর কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ওই বৃদ্ধার নাতি-নাতনিরা অন্যত্র থাকেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকায় কেউ ওই বাড়িতে ঢোকার সাহস দেখাচ্ছেন না। এই অবস্থায় বৃদ্ধার সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়ে দেন শুভজিৎ বিশ্বাস ও গোপাল সাহা নামে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মী। পিপিই পরে শনি ও রবিবার বৃদ্ধার কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। বৃদ্ধাকে দুধ-বিস্কুট খাইয়ে দিয়ে এসেছেন শুভজিৎ। দুপুর ও রাতের খাবার বৃদ্ধাকে দেওয়া হয়। শুভজিতের বক্তব্য, একটা কঠিন পরিস্থিতিতে ৮৫ বছরের একজন বৃদ্ধা একাকী আটকে পড়েছেন। এই সময় তাঁর পাশে দাঁড়ানোকেই প্রধান কাজ বলে মনে করেছি। বৃদ্ধাকে খাওয়ানো, ওষুধ দেওয়া সহ পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার পুরসভার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বৃদ্ধার পরিচর্যার জন্য সর্বক্ষণের একজন আয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। যিনি ওই বাড়িতে পিপিই পরিহিত হয়ে কাজ করবেন। এমনকী বৃদ্ধাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো যায় কি না, সেবিষয়েও আলোচনা করছেন পুরকর্তারা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক প্রবীর পাল বলেন, নিয়মিত চিকিৎসক যাবেন ওই বৃদ্ধার শারীরিক পরীক্ষার জন্য। সেইসঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে। যিনি ওই বৃদ্ধাকে দেখভাল করবেন। পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।