কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এদিকে স্কুল শিক্ষা দপ্তর মনে করছে, হাইকোর্ট কয়েক বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলাগুলির দ্রুত শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করলে কালক্ষেপ না করে এই নিয়োগের কাজে হাত দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মেধা তালিকাভুক্তদের কাউন্সেলিং অনলাইনে করার কথাও দপ্তর ভেবে রেখেছে। প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে দেওয়া কমিশনের আইনজীবীর চিঠিতে মোদ্দা যা বলা হয়েছে, তা হল, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় কয়েক বছর আগে। পরবর্তীকালে আরও ৫ হাজার ১টি পদে নিয়োগের কথাও সরকারের তরফে কমিশনকে জানানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন ধাপে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে ১৪ হাজার ৭৮৫ জন আবেদনকারী প্রায় দু’হাজার রিট পিটিশন দাখিল করেছেন হাইকোর্টে। সেই সব পিটিশনগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারপতি ইতিমধ্যেই একাধিক শুনানির কাজ সেরে ফেলেছেন। কিন্তু অতিমারী পরিস্থিতি সেই ছন্দে বাধ সেধেছে। তবে শিক্ষক নিয়োগের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাকি শুনানি পর্ব যাতে দৈনিক ভিত্তিতে করা যায় সেজন্য এই আবেদন জানানো হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগের কাজ থমকে থাকার পিছনে রয়েছে এই বিরাট সংখ্যক মামলা। আর এই সব মামলার আড়ালে রয়েছে বিরোধীরা। সরকার সর্বদা দ্রুত আইনি জটিলতার নিষ্পত্তি করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায়। সরকারের এহেন উদ্যোগ প্রসঙ্গে বুধবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে আমরাও। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চরম দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। তাই তারা আদালতে গিয়েছে।