কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। ২৬ এপ্রিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ বিপ্লব দাশগুপ্তের করোনায় মৃত্যু হয়। মমতা ট্যুইট করে সেকথা জানানোর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেন। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত করোনা যোদ্ধাদের মৃত্যু হলে সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত করোনা যোদ্ধাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমা করে দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি ও সরকার অধিগৃহীত হাসপাতালে করোনা যোদ্ধারা সংক্রামিত হলে তাঁদের এক লক্ষ করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের অন্যতম চিকিৎসক সংগঠন ডব্লুবিডিএফ সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মারা গিয়েছেন ২০ জন। করোনার বলি হয়েছেন কয়েকজন নার্সিং কর্মীও।
এবার সংবর্ধিত হতে চলা করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে নজর কাড়বেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মাসকয়েক আগে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মূলত তাঁদেরই দায়ী করা হচ্ছিল। বাস্তবে দেখা গেল, করোনা জয়ের পর বহু মানুষ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতার বিবরণ লিখেই ক্ষান্ত হয়েছেন, তখন করোনা জয়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ডিউটি করে চলেছেন। করোনা জয়ী শ্রমিকদের দিয়েই হাসপাতালে কাজের পরিকল্পনা শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। সেখানকার কোভিড ১৯ ওয়ারিয়ার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ অমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, এখনও পর্যন্ত এই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙ্গুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ, রাজারহাটের সিএনসিআই প্রভৃতি জায়গায় কাজ করছেন। রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের চারজনকে মুখ্যমন্ত্রী সম্মান জানাবেন। আমরা খুবই আনন্দিত। -ফাইল চিত্র