সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
নয়া নাগরিকত্ব আইন সংবিধান বিরোধী—মূলত এই যুক্তিতেই যাবতীয় মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। কেরলের পিনারাই বিজয়নের সরকারও একটি মামলা ঠুকেছে সুপ্রিম কোর্টে। তারাই সিএএ নিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করায়। দলের অন্দরে এই পদক্ষেপের জন্য বিজয়নদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই অবস্থায় দলের বঙ্গব্রিগেড কিছুটা হলেও চাপে। কেরলের উদাহরণকে সামনে রেখে তারা সিএএ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব নেওয়ার সঙ্গে মামলা করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছিল। এখন রাজ্য নেতৃত্ব কয়েকজন নেতাকে দিয়ে আলাদা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত করেছে। এই মামলার যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যকে।
এই মামলা প্রসঙ্গে খসড়া হলফনামায় অন্যতম স্বাক্ষরকারী তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সিএএ সম্পূর্ণভাবে একটি সংবিধান পরিপন্থী আইন। সারা দেশের অধিকাংশ মানুষ এই বিভাজনকামী আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে আমরা আগাগোড়া এই আইন এবং এনআরসি-এনপিআর-এর বিরোধিতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। কেরলে বাম সরকার একইসঙ্গে মামলাও রুজু করেছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের সরকার সেই সাহস দেখাতে পারেনি। বহু বিতর্কের পর অবশেষে সোমবার বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। রাজ্য সরকার যেহেতু মামলার পথে যাওয়ার উচ্চবাচ্য করছে না, তাই বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে বার্তা দিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে মানুষের ক্ষোভকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিপিএম তথা বামেরা। আগামী কয়েকদিন এই কর্মসূচি জোরকদমে চালিয়ে যাওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই পুরভোটের প্রাথমিক প্রচার ও সাংগঠনিক খামতি দূর করার কাজ সেরে ফেলতে চায় তারা। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হতে চলেছে তার তিন দিন আগে। সে কথা মাথায় রেখেই এই ক’দিন মিটিং-মিছিলে খামতি না রাখতে বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা পর্বে মাইক ছাড়াই বাড়ি বাড়ি এবং বাজারহাটে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে আলোচনার কাজ এই সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।