সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এখন যে ব্যবস্থা আছে, তাতে নতুন কার্ড হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা রেশন দোকানে দেখিয়ে চাল-গম পাওয়া যায় না। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এখন রেশন ব্যবস্থা পুরোটাই অনলাইনে চলে। নতুন কার্ড প্রাপক ডিলারের কাছে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার পর সেটা খাদ্যদপ্তরের পোর্টালে নথিভুক্ত হলে তবেই খাদ্য বরাদ্দ করা হয়। খাদ্য বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত কার্ড থাকলেও গ্রাহককে তা দেওয়া সম্ভব হয় না ডিলারের পক্ষে। এনিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সেই খবর খাদ্যদপ্তরের কাছে পৌঁছয়। এখন লক্ষ লক্ষ নতুন রেশন কার্ড ডাকযোগে পাঠানো হচ্ছে। ফলে নতুন কার্ড প্রাপকরা রেশন দোকানে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এলে সমস্যা আরও বাড়বে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নতুন কার্ড নিয়ে গ্রাহকরা এলে সেটা যদি খাদ্যদপ্তরের পোর্টালে নথিভুক্ত না থাকে, তা হলেও রেশন ডিলার বরাদ্দের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে দেবেন। যেহেতু ওই কার্ডটি তখনও পোর্টালে নথিভুক্ত হয়নি, তাই ইলেকট্রনিক যন্ত্রে (ই-পস) ওই কার্ডের লেনদেন করা যাবে না। অফলাইনে অর্থাৎ রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করে খাদ্য সামগ্রী দেবেন ডিলার। যে বরাদ্দ আছে, তার থেকে নতুন গ্রাহকদের আপাতত খাদ্য দেওয়া হবে। বরাদ্দের বাইরে যা দেওয়া হবে, সেটা পরে ডিলারকে অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে দিয়ে দেবে খাদ্যদপ্তর। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাঁরা এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তবে নতুন কার্ড যাতে তাড়াতাড়ি পোর্টালে নথিভুক্ত হয়, সেটা দেখতে হবে। এই কাজে কয়েক মাস সময় লেগে যাচ্ছে। পুরো কাজটার মধ্যে আরও সমন্বয় প্রয়োজন আছে। এদিকে, ডাকযোগে যে সব কার্ড পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে কতকগুলি গ্রাহকরা বাড়িতে গ্রহণ করছেন। কেউ কেউ বাড়ি না থাকলে ডাককর্মীরা ফিরে যাচ্ছেন। তাই ডাকদপ্তর থেকে নিয়মিত এলে সুবিধা হবে। সবাই তাহলে হাতে নতুন কার্ড পেতে পারেন।
পাশাপাশি, খাদ্যদপ্তরের বিভিন্ন অফিসে আগে তৈরি হওয়া বহু ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনও পড়ে আছে। যাঁদের নামে ওই কার্ডগুলি রয়েছে, তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আগে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কার্ড দিতে গিয়ে এই সমস্যা তৈরি হতো। পড়ে থাকা কার্ডগুলিতে গ্রাহকের বাড়ির ঠিকানা থাকলে তা ফের ডাকযোগে পাঠানো নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঠিকানার বদলে মোবাইল নম্বর থাকলে যোগাযোগ করা হতে পারে।