কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে ওই পৈতৃক ভিটে থেকে কিছুটা তফাতে বড় রাস্তার উপর সুভাষ বসুর নামে নথিভুক্ত জমিতে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পুরসভা থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে তার চারপাশ সাজানো হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি তার উদ্বোধন হবে বলে জানালেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অতসী পাল। ওইদিন জায়গাটি ঘুরে সকলে দেখতে পাবেন বলে জানালেন কাউন্সিলার।
সোনারপুরের কোদালিয়ায় সুভাষ বসুর পৈতৃক ভিটেতে তাঁর দাদু হরনাথ বসু আরও কয়েক পুরুষ ছিলেন। এই বাড়িতে ১৮৬০ সালের ২৮ মে জন্ম হয় সুভাষ বসুর বাবা জানকীনাথ বসুর। পরবর্তী সময়ে তিনি স্ত্রী প্রভাবতী দেবীকে নিয়ে কটক চলে যান। সেখানে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তবে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় জানকীনাথ বসু সস্ত্রীক কোদালিয়াতে আসতেন। সেই সময় সুভাষ বসুও বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বাড়িতে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ও যখন তিনি সুভাষ বসু থেকে নেতাজি হননি, সেই সময় কোদালিয়ার ওই বাড়িতে এসে রাতও কাটিয়ে গিয়েছেন। ওই বাড়িতে সুভাষ বসুর ব্যবহৃত চায়ের কাপ থেকে জল খাওয়ার গ্লাস, খাট, বিছানা এখনও অক্ষত রয়েছে। বাড়িটি সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশা হয়ে গিয়েছিল। সুভাষ বসু দোতলায় যে ঘরটিতে উঠতেন, তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। এছাড়া ছাদে ফাটল তৈরি হয়। কোনও ঘেরাটোপ না থাকায়, বহিরাগতদের উপদ্রবের জায়গা হয়ে যায়। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তার সংস্কারের পরিকল্পনা হয়। সেইমতো কয়েকবছর আগে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে তা সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় বারুইপুর মহকুমার পূর্ত বিভাগকে। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে সেই কাজ এখন শেষ।
ঝাঁ চকচকে নেতাজির পৈতৃক ভিটে চারপাশ উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ভিতরে দোতলা ঘর থেকে সিঁড়ি পুরনো অবস্থায় রেখে তার চেহারা নতুন রূপে বদলে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির ভিতরে পুজোর দালান তাও সাজানো হয়েছে। ঢোকার মুখে লোহার গ্রিলের গেট বসেছে। তবে তাতে তালা দেওয়া। আচমকা দেখলে চেনাই যাবে না। ওই বাড়ির গা ঘেঁষা রাজপুর-সোনারপুর পুর চেয়ারম্যান পল্লব দাসের ভিটে। তাঁর কথায়, বাড়িটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পূর্ত বিভাগকে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পুরসভা কিছু বলতে পারবে না। তবে সুভাষ বসুর নামে পুরসভায় মিউটেশন করা জমিটি মানুষ ঘুরে দেখতে পারে। তা সাজানো হয়েছে। বারুইপুর মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার বলেন, ওটা খুলে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। কারণ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর বিষয়টি সরাসরি দেখছে। বারুইপুর মহকুমা পূর্ত বিভাগের সহকারী বাস্তুকার কলিমুদ্দিন সাহেব বলেন, অনেক আগে কাজ শেষ হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়েছে।