কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার এদিন জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি এলাকায় আলুর ধসা (লেট ব্লাইট) রোগ ধরা পড়েছে। এটা এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ও প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও, এই উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ আলুর ধসা রোগ খুবই উদ্বেগজনক। এতে ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আক্রান্ত এলাকায় কৃষি দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধসা রোগের সংক্রমণ তেমন হয়নি। ফলে এই রোগের প্রতিরোধক ওষুধ নিয়েও কিছুটা সমস্যা আছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রাখছে, যাতে প্রয়োজনে ধসা রোগের ওষুধ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। শীতকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মেঘ, কুয়াশা প্রভৃতি পরিবেশে আলুর ধসা রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
এমনিতেই শীতকাল হওয়া সত্ত্বেও আলুর বাজার দরও এখন অস্বাভাবিক রকমের চড়া। নতুন আলু অনেক বাজারেই ২৫ টাকা কেজি বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের শেষাশেষি থেকে যে নতুন জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলু উঠতে শুরু করবে, তা হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়। হিমঘরের আলু মে মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারের চাহিদা মেটায়। ওই আলুতে ব্যাপকভাবে ধসা রোগ ছড়ালে আগামী দিনেও তা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাজ্য সরকারও কিছুটা চিন্তায় আছে।
কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামী সাত-দশদিনের মধ্যে নতুন আলু বেশি পরিমাণে উঠতে শুরু করলে দাম কিছুটা কমবে। তাঁদের মতে, অক্টোবর মাস নাগাদ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পোখরাজ, এস ওয়ান প্রজাতির যে আলু চাষ করা হয়, তা ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বাজারে এসে যায়। এবার বুলবুল-এর প্রকোপে ঝড়-বৃষ্টির জন্য আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সেটা হয়নি। এদিনের অনুষ্ঠানে কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়ার প্রতিকূলতার পাশাপাশি ফড়েদেরও কিছুটা দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, জেলা থেকে কলকাতায় ঢোকার পর আলুর দাম হঠাৎ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, বেশি দাম পাওয়ার জন্য কৃষকরা জমি থেকে অপরিণত, কাঁচা আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এটা ঠিক নয়। কিন্তু মাঠেই ১৮ টাকা কেজি দাম পাওয়ায় এটা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আলু তোলা হলে তা পরিমাণে কম থাকে। এতে সামগ্রিক উৎপাদন কমে যায়। কাঁচা আলুর মানও খারাপ হয়।
কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ, হিমঘরের ভাড়া বৃদ্ধি করে কুইন্টালে ১৮০ টাকা করার দাবি তোলেন। কিন্তু সরকারি কর্তাদের তরফে এব্যাপারে বিশেষ ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। তবে ফায়ার লাইসেন্স ফি কমানো ও পঞ্চায়েতের করে সমতা আনার ব্যাপারে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।