কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
অতিথি শিক্ষক, আংশিক সময়ের শিক্ষক এবং চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের একটি ছাতার তলায় এনে তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছিল স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স (স্যাক্ট)। যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁদের বেতনও নির্ধারণ করা হয়। যদিও এই শিক্ষকদের নিয়ে এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলেই শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। যেমন, একজন শিক্ষক দু’জায়গায় পড়ালে, তাঁকে যে কোনও একটি কলেজের নাম দিতে হবে, নিয়োগপত্র কীভাবে দেওয়া হবে ইত্যাদি। এর মধ্যেই রাজ্যে কত এমন শিক্ষক আছেন, তার তালিকা করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রত্যেককেই নিজের নথি, তথ্য ইত্যাদি জমা দিতে বলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, একটা অংশের শিক্ষককে ‘নট ইন অর্ডার’ বলে গণ্য করা হয়েছে। অর্থাৎ, হয় তাঁদের জমা দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ, নয়তো তাতে ত্রুটি রয়েছে। ফলে সেই শিক্ষকদের স্যাক্ট (ক্যাটিগরি টু) বিভাগে আনা যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে যে বৈঠক হয়েছে, তাতে এঁদের ফের তথ্য জমা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, সেই তথ্য জমা পড়ার পর, ফের একবার সেগুলি যাচাই করা হবে। ছোটখাট ভুলভ্রান্তি থাকলে, তা ঠিক করে যাতে সেই শিক্ষকদের অনুমোদন দেওয়া যায়, তা দেখা হবে। এজন্য ফের পোর্টাল খোলা হবে। সেই সব ‘নট ইন অর্ডার’ শিক্ষকরা আবার নথি আপলোড করবেন। অফিসাররা সেগুলি পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। অবশ্য তার আগে এই শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিতে একটি ই-মেলও করা হবে। সেই মতো শিক্ষকরা এসে বিকাশ ভবনে দেখা করে যাবেন।
এদিকে, আরও কয়েকটি বিষয় ঠিক হয়েছে। তা হল, এই শিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির। সেই চিঠির কী বয়ান হবে, তা দপ্তরের আইন অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে তৈরি করা হবে। সেই খসড়া চিঠি কলেজগুলির কাছে পাঠানো হবে। তবে যে সব অতিথি বা আংশিক সময়ের শিক্ষক গত বছরের ১৭ জুলাই বা তার ঠিক কিছুদিন আগে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, সেই প্রসঙ্গও ওঠে। তাঁদের এখনই অনুমোদন দেওয়া যাবে না বলেই আপাতত স্থির হয়েছে।