উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিপুল জনাদেশে বিজেপি’র ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত হওয়ার দিনই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, নির্বাচনী প্রচার পর্বে আমায় যে যা বলেছেন, তার সবটাই ভুলে গিয়েছি। এখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার পালা। সবার সহযোগিতা চাই। ভাবী প্রধানমন্ত্রীর এহেন সৌজন্যকে মাথায় রেখেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচারপর্বে বক্তৃতা আর পাল্টা বক্তব্যে যে দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল মোদি-মমতার মধ্যে, পাল্টা সৌজন্য প্রদর্শন করে তাতে অনেকটাই জল ঢেলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি মমতার রাজনৈতিক শিষ্টাচারও বটে। আজ, বুধবার বিকেলের বিমানে দিল্লি যাবেন মমতা।
নীতিগত অসন্তোষকে দূরে সরিয়ে মমতা যে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে চলেছেন, তার আভাস মেলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে। এদিন পুরসভার তরফে জানানো হয়, ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) পার্ক সার্কাস ময়দানে যে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইফতার পার্টি হবে ৩ জুন। কলকাতা পুরসভা বোর্ড দখল ইস্তক বার্ষিক ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণটা নিজের রুটিন করে নিয়েছিলেন মমতা। শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে ইফতারে অংশ নিতেন তিনি। কিন্তু এবার ইফতারের দিন পিছিয়ে দেওয়ার কারণে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। মমতা থাকছেন না বলেই পিছিয়ে যাচ্ছে ইফতারের দিন, তাও জানায় ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্রের খবর, ইফতার পার্টির দিন পিছিয়ে যাওয়ার গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয় কলকাতা পুরসভার একটি নোটিসে। তাতে বলা হয়, পুরসভা আগামী ৩০ মে সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে পার্ক সার্কাস ময়দানে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। পরে জানা যায়, ওই একইদিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইফতার পার্টির দিন পরিবর্তন করে ৩ জুন করা হয়েছে। পার্ক সার্কাস ময়দানে তার সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিট। নোটিসে পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের দিন পরিবর্তন করা হলেও, নতুন করে আর কোনও আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হচ্ছে না। আগের আমন্ত্রণপত্র নিয়েই আসতে পারবেন অতিথি-অভ্যাগতরা। তবে ইফতারের নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিট আগে সবাইকে আসন গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুরসভার এই নোটিসের পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার বিষয়টি। সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটা ফরমাল সেরিমনিয়াল প্রোগ্রাম। আজই আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। মাঝে মাত্র একটা দিন। তবে আমি বা অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা যখন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যখন কোনও ফরমাল আমন্ত্রণ পাই, তাতে থাকার চেষ্টা অবশ্যই করি।