কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বুধবার সকালে ছেলেধরা ইস্যুতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বিরাটি স্টেশনে। তদন্তে নেমে বারাসত জিআরপি জানতে পারে, ছেলেধরা সন্দেহে নিগৃহীতা মহিলাই ওই শিশুর মা। স্রেফ সন্দেহের বশে তাঁকে মারধর করেছিল কিছু মানুষ। তারপর এদিন রাতে বারাসতের জিআরপি থানায় এসে রামেশ্বর পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি জানান, আক্রান্ত মহিলা সুস্মিতা পাণ্ডে তাঁর স্ত্রী। আর শিশুটির বাবা তিনি। প্রমাণ হিসেবে শিশুটির জন্মের পর হাসপাতালের ডিসচার্জ কাগজও জিআরপিকে দেখান। কিন্তু ততক্ষণে নিয়ম অনুযায়ী, শিশুটির আশ্রয় হয়ে গিয়েছে বারাসতের জেলা শিশু কল্যাণ সমিতিতে। বুধবারের ঘটনার পর শুক্রবার বারাসতে গিয়ে অবাক হন তিনি। বললেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাই। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা থাকি বামনগাছি রেল কলোনিতে। আজ আমরা সন্তানকে আনতে এসেছিলাম। কিন্তু পেলাম না। আমাদের বলা হল, কিছু আইনি কারণে আমরা সন্তানকে পাব না।’ এরপর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রামেশ্বরবাবু। বললেন, ‘একটা গুজবের কারণে আমার স্ত্রীকে মারধর করা হল। তিনদিন হল আমরা ছেলেকে দেখতে পাই নি। ও কি খাচ্ছে, কেমন আছে কিছুই জানি না। আমি চাই প্রশাসন আমাদের ছেলেকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। সোমবার আবার আসতে বলা হয়েছে।’ শিশুকল্যাণ সমিতির সদস্যা রীতা পাল বলেন, ‘শিশুটিকে হস্তান্তর করতে ফিল্ড ভেরিফিকেশন করা হবে। কমিটি তা করবে। শিশুটিকে দ্রুত বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’