কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
গত দু’বছরে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের উপর একটি সমীক্ষা চালায় মাইক্রোসফ্ট। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কর্মীরা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে সহকর্মীদের বোঝাপড়া আরও বেড়েছে এই সময়ে। প্রত্যেকেই একে অপরের উপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ৮৬ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, সংক্রমণের সময় কাজের চাপ যেভাবে বেড়েছে, তা রুখতেই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তবে ৬৬ শতাংশ কর্মী তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে হতাশার কথাই জানিয়েছেন সমীক্ষায়। তাঁরা জানিয়েছেন, কর্মস্থলে যে ধরনের সংস্কৃতি থাকার দরকার, তা তৈরি করার মানসিকতা নেই ‘বস’দের। আবার স্টোর ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্টাল হেড বা ফ্লোর ম্যানেজারদের মতো কর্মীর ৬৯ শতাংশ মনে করেন, কাজের জায়গায় ভালো পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে অনীহা আছে কর্তৃপক্ষের। ৬৭ শতাংশের দাবি, বস তাঁদের সঙ্গে যেটুকু যোগাযোগ রাখেন, তাতে খুব একটা কাজের কাজ হয় না। ১৭ শতাংশের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা কানেই তোলে না।
করোনাকালে যথেষ্ট শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ও যাচ্ছেন সাধারণ কর্মীরা। কিন্তু তাঁদের সেই পরিশ্রমকে কি যাথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়? কর্মীদের ২৩ শতাংশের বক্তব্য, তাঁদের কর্মী হিসেবে ধর্তব্যের মধ্যেই রাখা হয় না। অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। ৬৫ শতাংশের বক্তব্য, তাঁদের শারীরিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যদি একটু খবরাখবর নিত, তাহলে ভালো হতো। মানসিকভাবে যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে কর্মীরা দিনযাপন করছেন, সেই বিষয়েও যদি কর্মস্থলের উপর মহল একটু মানবিক হতো, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারত বলে মনে করছেন ৬৪ শতাংশ কর্মী।
করোনাকাল দুই পেরিয়ে তিন বছরে পড়তে চলেছে। পরিস্থিতির বদল কবে হবে, সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই কর্মস্থলের পরিস্থিতি আগামী দিনে আদৌ উন্নত বা ভালো হবে কি না, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কর্মীরা। ৪১ শতাংশ কর্মী বলছেন, কাজের জায়গায় মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকেই যাবে বা আরও বেড়ে যাবে। কাজের জায়গায় কেন বাড়ছে চাপ? কর্মীরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে অর্থনৈতিক চিন্তা। এর সঙ্গেই আছে কাজের চাপ, করোনা প্রোটোকল মেনে চলার ঝঞ্ঝাট, দীর্ঘ সময় ধরে কাজের জায়গায় হাজির থাকার সমস্যা, ক্রেতাদের বা গ্রাহকদের হাজারো চাহিদা মেটানোর ঝক্কি আর একটি নির্দিষ্ট সময়েই কাজের জন্য বরাদ্দ হওয়ার ঝামেলা। অর্থাৎ দিনের নানা সময়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ‘সিডিউল’ বা কাজের সময় বরাদ্দ হলে হয়তো ভালো হতো, মনে করছেন অনেকেই।