অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘরে আগুন ধরিয়ে রাতেই সাইকেল নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় রামকৃষ্ণ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। এদিকে, অগ্নিদগ্ধ শ্বশুর সুবল সর্দার (৬২) ও শাশুড়ি কাজল সর্দার (৫৫)’কে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে সুবলবাবুকে পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। কাজলদেবীকে রেফার করা হয় নীলরতন মেডিক্যাল কলেজে। রবিবার সকালে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে তেলের বোতল, লাইটার উদ্ধার করেছে পুলিস।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রাত একটা নাগাদ আচমকাই সুবলবাবুর বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ঘরের ভিতর থেকে দম্পতির আর্তনাদ শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। ঘরের দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করে। রবিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সুবলবাবুদের ছোট পাকাবাড়ি। আসবাবপত্র বলে কিছুই নেই। সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন বাড়ির লোকজন। তাঁদের একজন বললেন, ‘ঘরের জানলায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় জামাই। গত শনিবার রাতেও আগুন সে আগুন লাগাতে এসেছিল। কিন্তু জানাজানি হওয়ায় তা আর করতে পারেনি।’ শ্রীকৃষ্ণনগর গোয়ালবেড়িয়ায় বাড়ি রামকৃষ্ণের। ২০১২ সালে সুবলবাবুর মেয়ে কৃষ্ণার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাঁদের ৮ বছরের একটি কন্যা রয়েছে। রামকৃষ্ণ পেশায় লাইট মিস্ত্রী। স্ত্রী কৃষ্ণার অভিযোগ, দেখাশোনা করে বিয়ে হলেও অকথ্য অত্যাচার চালাত স্বামী। সেই কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে থানাতে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, ‘অত্যাচারের কারণেই বাপের বাড়ি চলে এসেছিলাম গত বছর। এরপর ক্ষমা চেয়ে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্বামী। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই কারণেই গত ডিসেম্বরে বাপের বাড়ি চলে আসি, তারপর থেকে আর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি। বাবা-মাও আমাকে যেতে দেয়নি। এর জেরেই আগুন লাগিয়ে বাবা-মাকে পুড়িয়ে মেরেছে সে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, স্ত্রী বাপের বাড়ি থাকত বলে সে তাঁকে সন্দেহ করত। শ্বশুর-শাশুড়িকে বলে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়েও যেতে চেয়েছিল সে। কিন্তু তাঁরা মেয়েকে ছাড়েননি। সেই আক্রোশেই বাড়িতে আগুন দেয় অভিযুক্ত।