অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
এদিন নৈহাটির প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, অশোকনগরের প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী এবং বনগাঁ উত্তরের প্রার্থী শ্যামল রায় ও ভাটপাড়ার প্রার্থী জিতেন্দ্র সাউয়ের সমর্থনে অভিষেক নৈহাটি, বনগাঁ ও অশোকনগর ও ভাটপাড়ায় চারটি জনসভা করেন। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে প্রতিটি সভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। নৈহাটির সভা থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, এরা মুখে দেশপ্রেমে কথা বলে। কিন্তু, সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী এরা। বিজেপি মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের হাতে ট্যাব তুলে দিচ্ছেন। এটাই পার্থক্য। প্রধানমন্ত্রী সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান কিনেছেন। তাতে ৮৫টি ভালো হাসপাতাল হতে পারতো। ১০ হাজার বেড বাড়তে পারতো।
অভিষেকের সভা চলাকালীন পর পর তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সভাস্থলেই চিকিৎসক ছিলেন। বক্তব্য থামিয়ে অভিষেক কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। গ্রিনরুমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করুন। জল দিন। তিনি দর্শক-শ্রোতাদের জিজ্ঞাসা করেন, আর কেউ অসুস্থবোধ করছেন? মা-বোনেরা, কেউ অসুস্থ বোধ করছেন? একজন জল চাইলে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে জলের ব্যবস্থা করেন। তাঁর মানবিক উদ্যোগে সভাস্থল করতালিতে ভরে উঠে। তারপর তিনি বলেন, এই জন্য আমরা একদিনে নির্বাচন চেয়েছিলাম। মানুষের উপর যে অবিচার করা হচ্ছে, এর বদলা ২ তারিখের পর নেব।
বনগাঁর জনসভায় নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, আপনারা সকলেই নাগরিক। কাউকে নতুন করে নাগরিকত্বের দরকার নেই। মতুয়ারা যদি অবৈধ হয়, তাহলে সবার আগে শান্তনু অবৈধ। পাশাপাশি ২০১৯-২১ পর্যন্ত বনগাঁবাসীর জন্য বিজেপির সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। লালপার্টিকে কটাক্ষ করে যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, সিপিএমকে ভোট দেওয়ার চেয়ে নোটাতে ভোট দেওয়া ভালো। এদিনও শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্ৰীয় বাহিনী ও বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করবে না। এ রাজ্যে ভোট হবে কন্যাশ্রী, যুবশ্ৰীর মতো সামাজিক প্রকল্পে। এদিন অশোকনগরে সভায় বলেন, আসলে করোনা সংক্রমণে সাধারণ মানুষ মরল কি বাঁচল, বিজেপির কিছু এসে যায় না। সেখানেই বাংলার উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, উন্নয়নের নিরিখেই ভোট দিন। বিজেপিকে পরাজিত করুন। আমি কথা দিচ্ছি, এত গরমে আপনাদের এই উপস্থিতির ঋণ আমরা উন্নয়নের মাধ্যমেই পরিশোধ করব। এদিন ভাটপাড়ার সমাবেশে তিনি কারও নাম না করে বলেন, আপনাদের এখানে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক রয়েছেন, তাঁরা কি কিছু বাড়তি উন্নয়ন করেছেন? আলাদা করে গত দু’বছরে কি নতুন কোনও প্রকল্প আনতে পেরেছেন? এই নির্বাচনে তৃণমূলকেই ভোট দিন, যাতে ভাটপাড়ার উন্নয়ন থমকে না যায়।