অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ভোটপ্রচারের ব্যস্ততার মধ্যে রোজই করোনা পরিস্থিতির আপডেট জানছেন মমতা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে ফোনে নির্দেশও দিচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে জরুরি টিকা এবং ওষুধের জন্য রাজ্যের মানুষ বিপদে পড়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক নির্বাচনী জনসভাতে এ নিয়ে বিজেপি’র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। বারবার বলেছেন, কেন্দ্রকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সব রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ওরা অনুমতি দিচ্ছে না। পর্যাপ্ত টিকা মিলছে না। এবার সেই অভিযোগগুলিই লিখিতভাবে জানিয়ে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন তিনি। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, আপাতত ২.৭ কোটি মানুষের জন্য ৫.৪ কোটি ডোজ টিকা দরকার। এর মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত কলকাতার মতো বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জোরদার টিকাদান কর্মসূচি চালানো উচিত। কিন্তু শুধুমাত্র বিক্ষিপ্তভাবেই নয়, অত্যন্ত কম পরিমাণে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, করোনা চিকিৎসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডিসিভির এবং তোসিলিজুমাবের সরবরাহও অত্যন্ত কম। রাজ্যে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন দরকার দিনে ছ’হাজার করে। আর সরবরাহ হচ্ছে মাত্র এক হাজার। তোসিলিজুমাবের তো সরবরাহই নেই। সেইল এখন আমাদের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাচ্ছে। সেই সরবরাহের গতি মসৃণ রাখার জন্যও এদিন প্রধানমন্ত্রীক অনুরোধ করেন মমতা। এরই পাশাপাশি সেয়ানে সেয়ানে রাজনৈতিক লড়াইয়ের আবহেও সৌজন্য দেখাতে ভোলেননি মমততা। চিঠিতে জানিয়েছেন, করোনা যুদ্ধে রাজ্য সর্বতোভাবে কেন্দ্রকে সাহায্য করবে।
এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ১৩টি কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রককে তাদের অধীনস্থ সমস্ত হাসপাতালে পৃথক করোনা ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রকগুলি হল প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, শ্রম, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুত, রেল, স্টিল, কয়লা, আয়ুষ, আণবিক শক্তি, ভারী শিল্প, শক্তি ও জাহাজ। এইসব মন্ত্রকের অধীনস্থ হাসপাতালের করোনা ব্লকে প্রয়োজনীয় রোগ পরীক্ষা, সাধারণ শয্যা, সিসিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটর সহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর অন্তত তিন হাজার করোনা বেড বাড়াচ্ছে। সরকারি করোনা হাসপাতালগুলি ছাড়া বাদবাকি সমস্ত বড় ও মাঝারি হাসপাতালে কমপক্ষে ৫০ থেকে ১০০টি করে শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে রাজ্যের অন্যতম চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম মাস্ক না পরলে জরিমানার চালু করার দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে।