অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী অমিত দত্তগুপ্ত বলেন, আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এই রায়ে আমরা খুশি। তবে বাকি দু’জন অভিযুক্ত কেন মুক্তি পেলেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। বলেন, রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এনিয়ে মন্তব্য করব না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার সত্যনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মলিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মনীন্দ্রনাথ মণ্ডলের। বিয়ের পরদিন থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে গৃহবধূর উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও আক্রমণ চালানো হয় তাঁর উপর। দু’-চারদিন বাদে মলিনা গোটা বিষয়টি তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে জানান। তাঁরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এদিকে, দিন যত এগয়, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ততই বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিয়ের মাত্র ১৭ দিনের মাথায় ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়িতেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টও আত্মহত্যার যুক্তিকেই সমর্থন করেছে।
ওই ঘটনার পর মলিনার কাকা হরেন্দ্রনাথ বায়েন গোসাবা থানায় মণীন্দ্রনাথ সহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তারা পরবর্তীকালে জামিন পায়। এদিকে, এই মামলার তদন্ত শেষ করে আলিপুর আদালতে পুলিস চার্জশিট পেশ করে। সাক্ষ্য দেন মোট সাতজন। এই মামলা শেষ হতে কুড়ি বছর লাগল কেন? আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক বদলি, সাক্ষীরা সময়ে হাজির না হওয়া, সরকারি আইনজীবী পরিবর্তন এবং সর্বোপরি করোনা পরিস্থিতিতে (মামলার শুনানি শেষ করতেই এতগুলি বছরে পেরিয়ে গিয়েছে।