অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
জগদ্দল বিধানসভা অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক। ২০১৬ সালে অর্জুনবাবু তৃণমূলেই ছিলেন। সেই সময় বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন অরুণবাবু। তিনি গোটা এলাকা হাতের তালুর মতো চেনেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী পরশ দত্ত এখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার সোমনাথ শ্যামকে জগদ্দলে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সোমনাথবাবুও দলের দক্ষ সংগঠক। প্রার্থী হওয়ার পর থেকে দাপিয়ে প্রচার সারছেন। ২০১৬ সালে নদীয়ার শান্তিপুরে বাম-কংগ্রেস জোটে যিনি জয়ী হয়েছিলেন, সেই অরিন্দম ভট্টাচার্যকে বিজেপি জগদ্দলে প্রার্থী করেছে। তা নিয়েই অরুণ ব্রহ্মদের ক্ষোভ। তবে, অরিন্দমবাবু সকলকে নিয়ে চলছেন। অরুণ ব্রহ্মের ক্ষত মেরামত করে তিনি লড়াইয়ের ময়দানে একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এখানে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে ফরওয়ার্ডব্লকের প্রার্থী হয়েছেন নিমাই সাহা। এই কেন্দ্রে সাতজন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ১২। তবে, স্থানীয় মানুষের কথায়, এখানে মূল লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি। ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নিমাইবাবুর দাবি, প্রচারে তাঁরাও ভালো সাড়া পাচ্ছেন।
কিন্তু, জগদ্দলে কেন অরুণ ব্রহ্ম ফ্যাক্টর? তাঁর অনুগামীরা বলছেন, ২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩৩টি আসনেই বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, ৩০টি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছিল। যে তিনটি কেন্দ্রে জামানত বজায় ছিল, তার মধ্যে একটি হল জগদ্দল। সেটি অরুণবাবুই রাখতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয়ত, ২০১৬ সালে অরুণবাবু তৃণমূলের কাছে পরাজিত হলেও গত লোকসভার ভোটে তিনিই প্রায় আট হাজার লিড দিয়েছিলেন জগদ্দল থেকে। তাই জগদ্দলের অঙ্কও তিনি জানেন। অরুণবাবু বলেন, জগদ্দলে তৃণমূলের জয় ১০০ শতাংশ। কেন? তিনি বলেন, বিজেপির তো কোনও উন্নয়নই নেই। আমি যখন বিজেপিতে ছিলাম, কেউ আমাদের উন্নয়ন জিজ্ঞাসা করলে চুপ করে থাকতে হত। অথচ, মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এগুলি অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। দ্বিতীয়ত, আমি বিজেপিটা দীর্ঘদিন ধরে করে এসেছি। নিজে প্রার্থীও হয়েছি। ভোটটা বুঝি। আর এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন তিনি পাঁচবারে তিনবার দখল বদল করলেন। তাই জগদ্দলের মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।
তৃণমূল প্রার্থী সোমনাথ শ্যাম বলেন, প্রচুর সমর্থন পাচ্ছি। আরও উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জগদ্দলের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জয় নিশ্চিত। বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, এবারের ভোট হচ্ছে মোদি বনাম মমতার। তাই অরুণ ব্রহ্ম কোনও ফ্যাক্টর নয়। প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি শান্তিপুর থেকে বিধায়ক হলেও জগদ্দলেই আমার আসল বাড়ি। তাই জগদ্দলের মানুষ আমাকেই নির্বাচিত করে বিধানসভায় পাঠাবেন। আমার নিজের এলাকার মানুষের প্রতি সেই ভরসা ও বিশ্বাস আছে।