কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
টিটাগড়, বারাকপুর, উত্তর বারাকপুর, গাড়ুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া—এই আটটি পুরসভাকে নিয়ে বারাকপুর কর্পোরেশন গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ২১ নভেম্বর বারাকপুরের মহকুমা শাসক এই আটটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, সব কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে কর্পোরেশন গঠনের জন্য প্রস্তাব পাশ করাতে হবে। সেই সময় ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে থাকলেও তারা কর্পোরেশনের পক্ষে সায় দেয়।
ইতিমধ্যেই পুর ভোটের দামামা বেজেছে। আগামী এপ্রিল মাসে এই আটটি পুরসভায় ভোট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রতিটি পুরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক খসড়া সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছেন একাধিক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, পুরভোট হবে, নাকি কর্পোরেশন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। কারণ কর্পোরেশন এখনই হবে না, এমন সরকারি নির্দেশিকা এখনও জারি হয়নি। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, কর্পোরেশন গঠন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কর্পোরেশনের জন্য বিধানসভায় বিল আনতে হবে। এরপর কতগুলি বরো কমিটি হবে, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। কত জনসংখ্যার নিরিখে হবে ওয়ার্ড গঠন হবে, তা ঠিক করতে হবে। তারপরে রয়েছে ওয়ার্ড বিন্যাস এবং ওয়ার্ড সংরক্ষণের বিষয়। পুরভোটের আগে তা সম্ভব নয়। আরেক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, আটটি পুরসভায় ভোট বন্ধ রেখে কর্পোরেশন গঠনের কাজ চালাতে পারে রাজ্য সরকার। গঠন হওয়ার পর কর্পোরেশন ভোট হতে পারে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই আটটি পুরসভা এলাকায় প্রায়শই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। বিশেষত ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় ঘনঘন অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রটিও বিজেপির দখলে। একানে অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে সংগঠন অনেকটাই মজবুত গেরুয়া শিবিরের। তাই পুরভোট আটকে যাওয়ার সম্ভবনাও বেশি।
আটটি পুরসভার মধ্যে টিটাগড়, বারাকপুর ও উত্তর বারাকপুর বাদ দিয়ে পাঁচটি পুরসভা গত লোকসভা নির্বাচনের পর দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূল কাউন্সিলারদের ‘ঘর ওয়াপসি’র পর সবকটিই পুনরুদ্ধার করে শাসকদল। কাউন্সিলাররা ফিরলেও কর্মী-সমর্থকরা কি ফিরেছেন? সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের।
তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, আমরা সাংগঠনিক দিক থেকে শক্তিশালী আগেও ছিলাম। এখনও আছি। কাউন্সিলাররা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। দলের কর্মী-সমর্থকরা যাননি। পুরভোট হলে আটটিই আমাদের দখলে আসবে। বিজেপির বারাকপুর জেলা কমিটির সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আগেই বলেছিলাম, পুর ভোট আটকাতেই কর্পোরেশন গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই আট পুরসভায় ভোট করতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। দেখা যাবে, হয় কর্পোরেশন গঠনের নামে নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েই পথে নেমেছি। সর্বত্র সভা, মিটিং-মিছিল চলছে।