কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
শনিবার বিটি রোড, খগেন চ্যাটার্জি রোড, কাশীপুর রোড, বেলগাছিয়া রোড, আর জি কর রোডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বাস থেকে নেমে নানা মানুষজন গজরাতে গজরাতে ছুটছেন শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের দিকে। আর জি কর হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল তমাল দাসের সঙ্গে। কাশীপুর থানার বিটি রোডের বাসিন্দা ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোজই শুনছি ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। কিন্তু তারপরেই ফের ব্রিজ ভাঙার কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। এখন শুনছি ১ ফেব্রুয়ারি ভাঙার কাজ শুরু হবে। বৃদ্ধ বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে। চিড়িয়ামোড় থেকে শ্যামবাজার যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সেখানে বিভিন্ন পথ ঘুরে ঘুরে শ্যামবাজারে গাড়ি আসতে যদি এতটা সময় লাগে, তাহলে কাজ করব কী করে? বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনের সামনে অসীম মজুমদার নামে এক যুবক বলেন, উত্তর কলকাতার টালার নাম শুনলেই এখন অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। কারণ এই পথ এখন হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। একবার যদি কেউ যানজটে পড়ে, তাহলে তা কখন মিটবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। শ্যামাবাজার স্ট্রিটের বাসিন্দা গৃহবধূ সোমা মল্লিক বলেন, মাঝখানে একদিন দরকারে সিঁথির কালীচরণ ঘোষ রোডে গিয়েছিলাম। শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় যেতে লেগে গিয়েছিল প্রায় ৫০ মিনিট। বেশ বিরক্ত লাগছিল। আমরা সাধারণ মানুষ চাই, টালা ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ হোক। তাতে সকলেই উপকৃত হবেন। বাগবাজার বাটার কাছে কথা হচ্ছিল সোদপুরের পানিহাটির বাসিন্দা চৈতালি বিশ্বাসের সঙ্গে। ওই মহিলা বলেন, কলকাতায় কাজ করি। প্রতিদিন প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। এই পথটুকু আমাদের কাছে রীতিমতো বিভীষিকা মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইন্দ্র বিশ্বাস রোড, রানি হর্ষমুখী রোড, বিধান সরণী, মধুসূদন চ্যাটার্জি লেন, তারাশঙ্কর সরণী, খেলাতবাবু লেন সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন টালা ব্রিজ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত।