কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল। জার্সি বদল করেছিলেন একের পর এক কাউন্সিলার। দলীয় কর্মী সমর্থকরাও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। ফলত ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার তৃণমূলের মোট ৪০টি পার্টি অফিসের মধ্যে ২৪টি দখল করে নেয় বিজেপি। রাতারাতি পার্টি অফিসের দেওয়ালের রঙ পরিবর্তন ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির বদলে অফিসগুলিতে স্থান পায় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের ছবি। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক চিত্রটাও পরিবর্তন হয়েছে। ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন কাউন্সিলাররা। দলীয় কর্মী সমর্থকরাও তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। এর জেরে ১২টি পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে শাসক দল। গত ৯ জানুয়ারি ভাটপাড়া পুরসভা বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। গত মঙ্গলবার পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান হন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতারা দাবি করেছিলেন, এবার ভাটপাড়ায় শান্তি ফিরে আসবে। বোমা, বন্দুকের রাজনীতি এখানে আর চলবে না। অর্জুন সিংয়ের রাজ এখানে চলবে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। পুরসভা পুনরুদ্ধারের পর শাসক দলের নেতা কর্মীরা নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছেন, উজ্জীবিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের নেতা কর্মীরা পার্টি অফিসগুলি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছেন। আর তাতেই গোল বাধছে।
মঙ্গলবার রাতেই জগদ্দলের সিন্ধিয়া মোড়ের কাছে একটি পার্টি অফিস পুনর্দখল করতে যায় শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় উভয় দলের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার সকালে ঘোষপাড়া রোডে রিলায়েন্স জুটমিলের কাছে পার্টি অফিস দখলদারি ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও ১২টি পার্টি অফিস বিজেপির দখলে রয়েছে। সেগুলি তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতে গেলেই গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। তৃণমূলের ভাটপাড়া বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, মোট ২৪টি পার্টি অফিস ওরা দখল করেছিল। তারমধ্যে ১২টি পুনরুদ্ধার করেছি। বাকিগুলিও আমরা পুনরুদ্ধার করব। কারণ ওই পার্টি অফিসগুলি আমাদের। আমাদের দলের কর্মী সমর্থকরা ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে অফিসগুলি গড়েছেন। সেখানে অন্য দলের কর্মীরা চেয়ারে পা তুলে বসবেন, তা মেনে নেবেন না সাধারণ মানুষ। বিজেপির বারাকপুর জেলা কমিটির সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক আমাদের দলে এসেছেন। ফলে তাঁদের নিজের হাতে গড়া অফিসগুলি আমাদেরই। আমরা কারও পার্টি অফিস জোরপূর্বক দখল করিনি। কিন্তু এখন তৃণমূল পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে পার্টি অফিস দখল করতে আসছে। বোমাবাজি, গুলি চালাচ্ছে। আমাদের কেউ বাধা দিলে পুলিস ধড়পাকড় চালাচ্ছে। কিন্তু এটা দলের কর্মীরা মেনে নেবেন না। পার্টি অফিস দখল করতে এলে প্রতিরোধ হবেই।