উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
একটি অপরাধের ক্ষেত্রে একটি এফআইআর হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে কলকাতার পঞ্চসায়র ও নরেন্দ্রপুর থানায় দু’টি এফআইআর হয়েছে। যা আইনবিরুদ্ধ। সঙ্গত কারণে এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এটা কলকাতা পুলিস ও বারুইপুর পুলিস জেলার সমন্বয়ের অভাব? নাকি নির্যাতিতার পরিবার ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতা পুলিস ও বারুইপুর পুলিসকে অন্ধকারে রেখেছিল। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার দিদিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বোন একবার আমাকে বলেছিল, রাস্তায় পুলিসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এর বেশি আমি কিছু জানি না। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মাকে ফোন করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তবে এই ‘গণধর্ষণকাণ্ডের’ তদন্তে গিয়ে লালবাজার সেদিনের ব্যবহৃত গাড়িটি চিহ্নিত করতে পারলেও পাঁচদিন পরেও দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ।
বারুইপুর পুলিস জেলার এসপি রশিদ মুনির খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নরেন্দ্রপুর থানার টহলদারি টিম রাস্তায় ওই মহিলাকে দেখতে পায়। তারাই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এলে তিনি আমাদের বলেন, ‘দুটো লোক আমার সঙ্গে অসভ্যতা করেছে।’ মহিলার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করি। বারুইপুর পুলিস জেলার এক সূত্র জানাচ্ছে, তাঁকে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে গেলে তিনি রাজি হননি। এরপর তাঁকে একটি হোমে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই হোম থেকে পালিয়ে গড়িয়াহাটে চলে আসেন।
এদিকে, পঞ্চসায়র ‘গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা’ মহিলাকে শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার দিদি এ কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল ‘গণধর্ষণের’ পরও পঞ্চসায়রের সেই সেবা ওল্ডেজ হোমে ‘নির্যাতিতাকে’ রাখায় সুরক্ষার প্রশ্নে আপত্তি তোলে। তারপর ‘নির্যাতিতার’ একমাত্র অভিভাবক দিদিকে পঞ্চসায়র থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দিদি সম্মতি দিলে আদালতের অনুমতি নিয়ে ‘নির্যাতিতাকে’ লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।