পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের এ দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর জুনেইদ কমল আহমেদ সব রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব এবং তাঁদের আর্থিক সাহায্যে চলা বিভিন্ন প্রকল্পের ডিরেক্টরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেই যেসব রাজ্যে তাদের কর্মসূচি চলছে, তার পর্যালোচনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে চলা প্রকল্পগুলির কাজকর্ম নিয়ে প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা। সেখানেই উল্লেখ করা হয়, ৩২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাদের পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়। কমপক্ষে ৪০-৫০ লক্ষ টাকা পায় পঞ্চায়েতগুলি। সর্বাধিক এক কোটি টাকার বেশি। কাজের গুণগত বিচার ও পরিকল্পনা অনু্যায়ী টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না তা দেখতে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়ান। এরপরই বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সরেজমিনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তার উপর ভিত্তি করেই বিশ্বব্যাঙ্ক প্রশংসা করেছে। শুধু মুখে নয়, পঞ্চায়েত দপ্তরকে লিখিতভাবে প্রশংসার কথা জানিয়েছে তারা।
২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে গ্রাম পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্বব্যাঙ্ক। সেই কর্মসূচি রূপায়ণের সময়সীমা ধার্য করা হয় ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত। বিশ্বব্যাঙ্ক প্রথমে ৯৬০ কোটি টাকা দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ভালো কাজ করায়, সেই খরচ দাঁড়ায় ১১২০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রেনদেনিং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রজেক্ট (আইএসজিপিপি) ওয়ান। বিশ্বব্যাঙ্ক সন্তুষ্ট হয়ে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরুর জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬২০ কোটি টাকা অনুমোদন করে। এই পর্যায়ের কাজ শেষ করার জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বব্যাঙ্কের অফিসাররা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ১৬২০ কোটি টাকার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪৯ শতাংশ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা। তাঁরা চান, পশ্চিমবঙ্গকে মডেল হিসেবে অন্য রাজ্যের কাছে তুলে ধরা হোক।