পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিকে গোটা সাগরমেলা ও সংলগ্ন বিভিন্ন আশ্রমে স্নানের প্রস্তুতি নিয়ে জোর তৎপরতা। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়ানো আশ্রমে আশ্রমে ঘুরে সেই চিত্র নজরে এল। আশ্রমে আসা সমস্ত ভক্তদের স্নানের আগে চিত্তশুদ্ধির জন্য কোথাও চলছে নামযজ্ঞ, কোথাও চণ্ডীপাঠ, কোথাও গঙ্গাস্তব। কোথাও কীভাবে শোভাযাত্রা করে ভিড় এড়াতে কোন ঘাট দিয়ে স্নান সেরে নির্দিষ্ট জায়গাতে ফিরে আসা যায়, চলছে তারও অনুশীলন। ১ নম্বর থেকে আদি শংকরাচার্যের প্রতিকৃতি নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে করে স্নান করবেন পুরীর শংকরাচার্য। দু’দিন ধরে মনশুদ্ধির জন্য আশ্রমের তাঁবুতে গীতা ও বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র থেকে পাঠ করে শোনাচ্ছেন ভক্তদের। ৫ নম্বর রাস্তার দক্ষিণ পাশে ইস্কনের অস্থায়ী সেবা ক্যাম্প। এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, তাঁদের কেউ রাশিয়া, কেউ মালয়েশিয়া, কেউ আমেরিকা কেউ আয়ারল্যান্ড কেউ স্পেন থেকে এসেছেন। পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষক কৃষ্ণ চৈতন্য দাস ও রমেশ মহারাজ। উভয়ে জানালেন, বিদেশী ছাত্ররা প্রথম সাগরে সেবা ও স্নান করবে। ভিড় এড়াতে গভীর রাতে ৫১ জন বিদেশী পড়ুয়াকে ৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলে হরিয়ানা চ্যারিটেবল ভবন। প্রচুর ভক্তের ভিড় সেখানে। সম্পাদক প্রহ্লাদকুমার ধানধানিয়া বলেন, শোভাযাত্রা করে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে এখানে আসা সকলেই দল বেঁধে ডুব দিতে যাচ্ছে। সাগর কে ১ বাস টার্মিনাসের কাছে লোকনাথ মিশন। স্নানযাত্রীতে ভরে গিয়েছে আশ্রম। সহ-সম্পাদক স্বপন কুণ্ডু বলেন, ভিড় এডাতে এদিন সোমবার শোভাযাত্রা করে লোকনাথবাবার প্রতিকৃতি নিয়ে স্নান করে আসা হয়েছে। তবে আশ্রমের অন্য ভক্তরা মঙ্গলবার যাচ্ছেন। ১ নম্বর রাস্তার দিকে পশ্চিম পাশে অভেদানন্দ স্বামীজির হিন্দু সনাতন ধর্ম প্রচার আশ্রম। সেখানকার মুখপাত্র কৃষ্ণপ্রসাদ রায় বলেন, গঙ্গাস্তব ও গুরুমন্ত্র জপ করতে করতে স্নানঘাটে যাবে আমাদের আশ্রমিক ভক্তকুল। সনাতন ব্রহ্মচারী আশ্রমের অধ্যক্ষ জয়ন্ত মহারাজ বলেন, ভোরবেলা গুরুদেব অমিয়নন্দ গিরির প্রতিকৃতিসহ দেড়শো ভক্তসহকারে খোলা করতাল নিয়ে ডুব দেওয়া হবে সঙ্গমে।
নিগমানন্দ সরস্বতীর ছবি নিয়ে সকাল ছ’ টায় সাতশো ভক্তের শোভাযাত্রা বের হবে। স্নান করিয়ে কপিলমুনির মন্দির দর্শন করিয়ে আশ্রমে ফিরে আসবে। বাসুদেবানন্দ সৎসঙ্গ আশ্রমের সহ সভাপতি মহাদেব দে বলেন, মাহেন্দ্রযোগ ও অমৃতযোগের স্নান সম্পন্ন করবেন ভক্তরা। এরমধ্যে জেলাশাসক সুখবর দিয়েছেন। ভোরে স্নানের সময় সাগরতটে কোনও কুয়াশা থাকছে না। মেলায় বসানো আধুনিক আবহাওয়া সম্প্রচার মেশিনের এটাই পূর্বাভাস।