পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
বর্তমানে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর (উত্তর-পূর্ব) সদর দপ্তরের অধীনে চারটি হোভারক্রাফ্ট রয়েছে। যেগুলি হলদিয়া স্টেশনে রাখা থাকে। সোমবার তেমনই একটি হোভারক্রাফ্টে সাংবাদিকদের গঙ্গাসাগরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নিয়ে যায় বাহিনী। হলদিয়া থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার জলপথ অতিক্রম করতে হোভারক্রাফ্টের এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর (উত্তর-পূর্ব) চিফ স্টাফ অফিসার (অপারেশন) ডিআইজি আই জে সিং বলেন, তিনটি হোভারক্রাফ্ট গঙ্গাসাগরের আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। একটি অনবরত জলে চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দু’টি গঙ্গাসাগরের প্রাঙ্গণে রাখা রয়েছে। এদিন সাংবাদিকদের সামনেই হোভারক্রাফ্ট-১৯৩ চালিয়ে সমুদ্রে অনবরত নজরদারি চালান অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট তথা মহিলা পাইলট শ্রুতি মোহন জৈনপুর। তিনি বলেন, এটাই তাঁর প্রথম গঙ্গাসাগরে আসা এবং স্কোয়াড্রনের সদস্য হিসেবে হোভারত্ক্রাফ্ট চালানো। এছাড়া কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর থেকে দু’টি ডর্নিয়ার বিমান নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলিও দফায় দফায় নজরদারি চালাচ্ছে। পিছিয়ে নেই চেতক হেলিকপ্টারও। একটি হলদিয়া থেকে এবং অন্যটি সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজে রাখা থাকছে। প্রয়োজনে উড়ে নজরদারিও চালাচ্ছে।
উপকূল রক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, ভারতীর উপকূল রক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্ব সদর দপ্তরের অধীনস্থ পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা মিলিয়ে মোট তিনটি রেডার স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে ওড়িশায় দু’টি-গোপালপুর ও পারাদ্বীপ এবং এরাজ্যে সাগরদ্বীপে। এই তিনটি রেডার স্টেশন মনিটরিং করা হয় হলদিয়া স্টেশন থেকে। সাগরদ্বীপে যে রেডার স্টেশন রয়েছে, তা দিয়ে গোটা গঙ্গাসাগর এবং সামুদ্রিক অংশটি নজরের আওতায় এনে ফেলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। অভিজিৎবাবুর কথায়, হলদিয়া স্টেশন থেকে বৈদ্যুতিন ভিজিল্যান্স চালানো হচ্ছে। বাহিনীর এক কর্তার কথায়, ১৫ জানুয়ারি বিকেলে স্নানপর্ব মিটে গেলেই তাঁদের কাজ অনেকটাই কমে যাবে। তবে সমুদ্রে ছোট ছোট চার্লি বোট এবং ডুবুরি বাহিনীও রয়েছে। এই বাহিনী রাজ্যকে এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সাহায্য করতে সর্বদা সচেষ্ট।