পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
রাজ্যে একের পর এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ চালু হচ্ছে। এ বছরের মধ্যে চালু হচ্ছে নতুন পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আরও ছ’টি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদন মিলেছে। রাজ্যে চিকিৎসকের অভাব মেটাতে এভাবে নতুন ডাক্তার তৈরি করা ছাড়া গতি নেই। কিন্তু, পাশাপাশি আরও একটি বড় সমস্যা হল, বর্তমানে যেখানে চালু থাকা মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই পর্যাপ্ত শিক্ষক চিকিৎসক পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে সরকারের, একের পর এক বিভাগে ডাক্তার কম থাকার জন্য পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড়, সেখানে আরও ১১টি মেডিক্যাল কলেজ হলে কারা পড়াবেন সেখানে? কোথা থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত শিক্ষক চিকিৎসক? সেই কারণে দু’টি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
দ্বিতীয় পরিকল্পনা হল, এতদিন স্বাস্থ্য পরিষেবা বা হেলথ সার্ভিস থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিষেবা বা মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসে যোগদানের বয়সসীমা ছিল ৫০ বছর। অর্থাৎ আরএমও বা ক্লিনিক্যাল টিউটর হিসেবে সর্বোচ্চ ওই বয়সেই সরকারি চাকরিতে (এমইএস) যোগদান করা সম্ভব। সেই বয়সসীমার গেরোতেই অনেক মেডিক্যাল অফিসারই পরে এমডি-এমএস করলেও, বয়স বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষক চিকিৎসক আর হতে পারতেন না। পরিকল্পনা হয়েছে, এক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫৫ করা হবে। তাতে একলপ্তে অনেক শিক্ষক চিকিৎসক পাবে রাজ্য।
এই দুই পরিকল্পনা ছাড়াও নিয়ম করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কখনও লোক পাওয়া যাচ্ছে, কখনও বিজ্ঞাপনে সাড়া মিলছে না। শিক্ষক চিকিৎসকের অভাব মেটানোর পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ প্রদীপ মিত্র বলেন, দু’টি পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে দু’টিই বাস্তবায়িত করা হবে।