যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
দ্বাদশ আইপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর এই ফর্ম ভারতীয় ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী করবে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লোকেশ রাহুল ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে বিশ্বকাপে তাঁকে চার নম্বরেই খেলানো হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পেস অলরাউন্ডার হিসাবে প্রথম একাদশে হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গা প্রায় পাকা। দ্বিতীয় পেস অলরাউন্ডার হিসাবে বিজয় শঙ্করকে খেলানো হবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে বিজয় চার নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। বিক্ষিপ্তভাবে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। তবে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে লোকেশ রাহুলের সাফল্য এক কথায় নজরকাড়া। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবেই তাঁকে ভাবা হচ্ছে। রহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটি যদি ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে রাহুলকে ওপেনার হিসাবে বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যেতে পারে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের অধিকাংশ সদস্যই লোকেশ রাহুলকে চার নম্বরে খেলাতে চাইছেন। তাতে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটা করতে পারবেন লোকেশ রাহুল। তবে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বেশি ভাবতে চান না রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছি। এটা নিঃসন্দেহে আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। ব্যাটিং পজিশনে নিয়ে আমার কোনও পছন্দের ব্যাপার নেই। টিম যা চাইবে আমি সেটাই করব।’
বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া অনিশ্চিত ছিল লোকেশ রাহুলের। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ব্যাটে রান ছিল না। সেই সঙ্গে একটি টি ভি শো’য়ে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তিনি হাজির ছিলেন। যেখানে হার্দিক মহিলাদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। সাসপেন্ডও হয়েছিলেন অল্প সময়ের জন্য। জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান হার্দিক ও রাহুল। এই ধাক্কা দুই ক্রিকেটারের জীবন দর্শন বদলে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দারুণ ব্যাট করেছিলেন লোকেশ রাহুল। যা তিনি আইপিএলেও বজায় রেখেছিলেন। আর এই সাফল্যই লোকেশ রাহুলের সামনে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এনে দেয়। এই প্রসঙ্গে লোকেশ বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ভালো ব্যাট করছি। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার পর আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে এবং আইপিএলেও সাফল্য পেয়েছি। তার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে তার আগে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি সেটা আর মনে করতে চাই না। ’
ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়ের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। যা তাঁকে ঘুরে দাঁড়াতে দারুণ সাহায্য করেছিল। রাহুল বলেছেন, ‘সব খেলোয়াড়ের খারাপ সময় যায়। আমি তাই ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করিনি। আমি যেভাবে খেলি, সেটাই করে গিয়েছি। আসলে ব্যাটে-বলে ঠিক মতো সংযোগ স্থাপন করতে পারলে সব ঠিক থাকে। না হলেই পুরো ব্যাপারটা উলটো হয়ে যায়। তাই খারাপ সময় গেলে বাইরে বসে মাথা চাপড়ালে হয় না। সেটা কাটিয়ে ওঠার জন্য পরিশ্রম করতে হয়। আমি সেটাই করেছি। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো মহান ক্রিকেটারের সংস্পর্শে আসার সুযোগ সব সময় মেলে না। কিন্তু ওঁর থেকে সব সময় মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছি।’
গত বছর ইংল্যান্ড সফরে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন লোকেশ রাহুল। এই অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে তিনি মনে করছেন। লোকেশ জানিয়েছেন, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশন আমাদের চেনা। গত বছর প্রায় এই সময়েই আমরা ওখানে খেলেছিলাম। তবে অতীতে সাফল্য পেয়েছি বলে এবার পাবো, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। নতুন করে শুরু করতে হবে। বিশ্বকাপ বড় মঞ্চ। চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। সেই মতো আমরা নিজেদের তৈরি করছি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আমরা পর্যাপ্ত সময়ও পাচ্ছি। তাই খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই মনে হয়।’