পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
বিএনএ, চুঁচুড়া: ইংরেজি নতুন বছরের দ্বিতীয় রবিবার বালি থেকে হেঁটে এসে ব্যান্ডেল চার্চে প্রার্থনা জানালে নাকি মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাসের উপর ভর করেই এদিন বালি থেকে ব্যান্ডেল চার্চ হেঁটে এসে নিজেদের মনস্কামনা জানালেন কয়েক হাজার মানুষ। তাই এদিন একটু বেলা বাড়ার পর থেকেই ব্যান্ডেল চার্চে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। প্রায় ২৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে আসার পর যিশু ও মা মেরির কাছে কেউ মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজের মনস্কামনা জানান, কেউ আবার মানত পূর্ণ হওয়ায় দণ্ডী কেটে চার্চ এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। শুধু খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাই নয় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এদিন ব্যান্ডেল চার্চে হাজির হয়ে তাঁদের প্রার্থনা জানান। চার্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিন প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষ এখানে প্রার্থনা করেন।
ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস বলেন, প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রবিবার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ‘ব্যাপটিজম অব জিসাস’ পালন করেন। এই দিনে অনেকেই মাদার মেরির কাছে মানত করেন। ধর্মবিশ্বাস এই যে, এদিন মাদার মেরির কাছে নিজের প্রার্থনা জানালে তা পূরণ হয়। সেইমতো বিভিন্ন চার্চে আজকের দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। তবে দীর্ঘ পথ হাজার হাজার মানুষের হেঁটে এসে এই ধরনের মনস্কামনা জানানোর ঘটনা বিরল। প্রায় ২০০ বছর ধরে ব্যান্ডেল চার্চে এই প্রথা চলে আসছে। মনস্কামনা জানাতে বালি থেকে হেটে আসেন ভক্তরা। তাই এই যাত্রার নাম ‘বালি ওয়াক’ বলেই পরিচিত। তবে বালিতে কোনও নিয়ম রক্ষার ব্যাপার না থাকলেও ওই জায়গা থেকেই মানত জানানোর জন্য মানুষ হেঁটে আসেন কেন তার কোনও ব্যাখ্যা বা কারণ জানা নেই বলে জানান ফাদার ফ্রান্সিস।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, যে সময়ে ব্যান্ডেল চার্চে এই প্রথা শুরু হয়েছিল তখন কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ব্যান্ডেল চার্চে আসার জন্য জি টি রোডই একমাত্র রাস্তা ছিল। তৎকালীন সময়ে যানবাহনের সেভাবে ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে আগের দিন বালিতে জড়ো হতেন। তারপর ভোররাত থেকেই দলবদ্ধভাবে হাঁটাপথে নিজেদের মনস্কামনা জানাতে রওনা দিতেন। তাই সেই সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। বালি থেকে ব্যান্ডেলে হেঁটে আসা বড়বাজারের বাসিন্দা প্রকাশ সাহা বলেন, বন্ধুর কাছ থেকে শুনে দু বছর আগে আমি এই দিন বালি থেকে হেঁটে এসে মাদার মেরির কাছে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজের মনস্কামনা জানিয়ে গিয়েছিলাম। আমার প্রার্থনা পূরণ হয়েছে, তাই এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে মাদার মেরির কাছে তা জানাতে এসেছিলাম। আমার প্রার্থনা পূরণ হয়েছে জেনে এদিন আমার চার বন্ধু তাদের প্রার্থনা জানাতে এসেছে।
ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার ফ্রান্সিস বলেন, প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রবিবার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ‘ব্যাপটিজম অব জিসাস’ পালন করেন। এই দিনে অনেকেই মাদার মেরির কাছে মানত করেন। ধর্মবিশ্বাস এই যে, এদিন মাদার মেরির কাছে নিজের প্রার্থনা জানালে তা পূরণ হয়। সেইমতো বিভিন্ন চার্চে আজকের দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। তবে দীর্ঘ পথ হাজার হাজার মানুষের হেঁটে এসে এই ধরনের মনস্কামনা জানানোর ঘটনা বিরল। প্রায় ২০০ বছর ধরে ব্যান্ডেল চার্চে এই প্রথা চলে আসছে। মনস্কামনা জানাতে বালি থেকে হেটে আসেন ভক্তরা। তাই এই যাত্রার নাম ‘বালি ওয়াক’ বলেই পরিচিত। তবে বালিতে কোনও নিয়ম রক্ষার ব্যাপার না থাকলেও ওই জায়গা থেকেই মানত জানানোর জন্য মানুষ হেঁটে আসেন কেন তার কোনও ব্যাখ্যা বা কারণ জানা নেই বলে জানান ফাদার ফ্রান্সিস।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, যে সময়ে ব্যান্ডেল চার্চে এই প্রথা শুরু হয়েছিল তখন কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ব্যান্ডেল চার্চে আসার জন্য জি টি রোডই একমাত্র রাস্তা ছিল। তৎকালীন সময়ে যানবাহনের সেভাবে ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে আগের দিন বালিতে জড়ো হতেন। তারপর ভোররাত থেকেই দলবদ্ধভাবে হাঁটাপথে নিজেদের মনস্কামনা জানাতে রওনা দিতেন। তাই সেই সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। বালি থেকে ব্যান্ডেলে হেঁটে আসা বড়বাজারের বাসিন্দা প্রকাশ সাহা বলেন, বন্ধুর কাছ থেকে শুনে দু বছর আগে আমি এই দিন বালি থেকে হেঁটে এসে মাদার মেরির কাছে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজের মনস্কামনা জানিয়ে গিয়েছিলাম। আমার প্রার্থনা পূরণ হয়েছে, তাই এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে মাদার মেরির কাছে তা জানাতে এসেছিলাম। আমার প্রার্থনা পূরণ হয়েছে জেনে এদিন আমার চার বন্ধু তাদের প্রার্থনা জানাতে এসেছে।
