বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এবার পড়ুয়াদের থেকে অঙ্কের সেই ভীতি দূর করতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। ঠিক হয়েছে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের চাপ কমাতে দু’ধরনের প্রশ্নের উপর অঙ্কের পরীক্ষা নেবে তারা। একটি থাকবে ‘সহজ’ প্রশ্নপত্র এবং অন্যটি ‘কঠিন’। পোশাকি নাম ‘ম্যাথমেটিক্স স্ট্যান্ডার্ড’ এবং ‘ম্যাথমেটিক্স বেসিক’। কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবেন, তা বেছে নেবেন পড়ুয়ারাই। আগামী ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে এই নয়া নিয়ম। তবে, এক্ষেত্রে অঙ্কের পাঠ্যক্রম বা মানের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকী, দুই ভিন্ন প্রশ্নপত্রের জন্য কোনও পৃথক শ্রেণীকক্ষ থাকবে না। পড়ুয়াদের আলাদাভাবে মূল্যায়নও করা হবে না।
কেন এই উদ্যোগ? পড়ুয়ারা তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেয় দশম শ্রেণীতে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই একটা মানসিক চাপ কাজ করে তাদের মধ্যে। একইসঙ্গে, দশম শ্রেণীর পর দ্বাদশ তথা প্লাস টু পর্যায়ে অনেক পড়ুয়া বিষয় তালিকায় অঙ্ক রাখে না বা হিউম্যানিটিজ তথা কলা শাখা বেছে নেয়। সেকথা মাথায় রেখেই ‘ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুযায়ী অঙ্কের দু’টি প্রশ্নপত্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই। এর ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন মেধার পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া যাবে, তেমনই ‘কঠিন’ বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চাপ কমবে।
জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে সিবিএসই আরও জানিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়া দশম শ্রেণীর পরেও অঙ্ক রাখবে, তাদের জন্য ‘ম্যাথমেটিক্স স্ট্যান্ডার্ড’। আর যারা উচ্চশিক্ষায় অঙ্ক নিয়ে পড়তে চায় না, তারা বসবে ‘ম্যাথমেটিক্স বেসিক’ পরীক্ষায়। শুধু পরীক্ষার্থীদের তালিকা জমা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট স্কুলকে বোর্ডের কাছে তা জানিয়ে দিতে হবে। এরপরেও যদি কোনও পড়ুয়া ‘ম্যাথমেটিক্স বেসিক’ পরীক্ষায় ফেল করে, তাহলে কমপার্টমেন্টাল পরীক্ষায় ওই ছাত্র বা ছাত্রী ফের ‘ম্যাথমেটিক্স বেসিক’ দেবে। অন্যদিকে, ‘ম্যাথমেটিক্স স্ট্যান্ডার্ড’ পড়ুয়াদের জন্য এক্ষেত্রে দু’টি প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আবার ‘ম্যাথমেটিক্স বেসিক’ প্রশ্ন বাছাই করা কোনও পড়ুয়া যদি মনোভাব বদলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অঙ্ক নিয়ে পড়তে চায়, তাহলে সে কমপার্টমেন্টাল পরীক্ষায় ‘ম্যাথমেটিক্স স্ট্যান্ডার্ড’ প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে পারবে।