বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
তবে কংগ্রেস যতই হুমকি দিক, এখনও পর্যন্ত খবর আগামীকাল নিজেদের আসন নিয়ে ঘোষণার পাশাপাশি জোট প্রসঙ্গে নিজেদের মত জানাবেন অখিলেশ-মায়াবতী। এমনকী অজিত সিংয়ের আরএলডিকেও তারা সঙ্গে নিয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হলেও উত্তরপ্রদেশে আপনা দলের সঙ্গে এখন বিজেপির সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তাই তাদের জোটে আসার বার্তা দিতে দুটি আসন ছেড়ে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাহুল গান্ধীকে চাপে রাখার পাশাপাশি নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাকে তুলে ধরার বার্তা দিতেই কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই উত্তরপ্রদেশে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মায়াবতী।
২০১৯ সালে বিজেপিকে হটাতে বিরোধীরা একসঙ্গে লড়াই করার পক্ষেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। যা নিয়ে দিল্লিতে দু’দফায় বড় বৈঠকও হয়েছে। তবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা ভোটপর্বে মায়াবতী একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন, উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেসকে ছাড়াই লড়বেন। সেই মতো সোনিয়া গান্ধীর আয়োজনে সাম্প্রতিক জোট বৈঠকে ছিল না বহুজন সমাজ পার্টি। এমনকী সমাজবাদী পার্টিও। যদিও এরপরেও বিধানসভা নির্বাচনের তিক্ততা ভুলে কংগ্রেস লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী একটি জোট করেই উত্তরপ্রদেশে লড়তে চেয়েছিল।
কিন্তু ‘বুয়া-ভাতিজা’ মায়াবতী-অখিলেশ কংগ্রেসকে মাত্র দুটি আসন (আমেথি এবং রায়বেরিলি) দেওয়ার বার্তা দিতেই তা মেনে নিতে অস্বীকার করেন রাহুল গান্ধী। সেই মতো উত্তরপ্রদেশের দলীয় নেতৃত্বের মত নিয়ে একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একা লড়বে কংগ্রেস। এবং ভালো ফল করবে দল। কারণ, সম্প্রতি তিন রাজ্যে কংগ্রেস সরকার গড়েছে। মকুব করেছে কৃষিঋণ। তাই উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
দলীয় সূত্রে খবর, তাদের বাদ দিয়ে এসপি-বিএসপি যেভাবে জোট ঘোষণা করতে যাচ্ছে তাতে ভিতরে ভিতরে হুমকির বার্তা দিয়ে রেখেছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে ২০০৯-র লোকসভার ফলাফলকে অস্ত্র করছে রাহুল গান্ধীর দল। উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল ২১। জোটসঙ্গী অজিত সিংয়ের আরএলডি পেয়েছিল পাঁচটি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ১০। এসপি ২৩। বিএসপি ২০। যদিও কেন্দ্রে সেসময় কংগ্রেসের রাজত্ব ছিল। এখন বিজেপি। তাই কংগ্রেস পুরনো ফলাফলের স্বপ্ন দেখলেও তা কতটা বাস্তব হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে।