দুবাই, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): আমি ‘মন কি বাত’ শোনাতে আসিনি! বরং এসেছি আপনাদের সমস্যার কথা শুনতে— দু’দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে ভারতীয় শ্রমিকদের এই বার্তাই দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রতি মাসে রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। দুবাইয়ের জাবেল আলি লেবার কলোনিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল মোদিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের সমস্যার বিষয়গুলি বুঝি। আপনারা সারাদিন কাজ করেন। পরিবারের জন্য দেশে টাকা পাঠান। আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই, আপনাদের কথা শুনতে চাই।’ রাহুল বলেন, ‘যে ব্যাপক উন্নয়নের নিদর্শন আমাদের চোখের সামনে রয়েছে, গগনচুম্বী বাড়ি, বিশালাকায় বিমানবন্দর, মেট্রো— আপনাদের অবদান ছাড়া এসব নির্মাণ সম্ভব হোত না। শহরের সার্বিক উন্নয়নের পিছনে রয়েছে আপনাদের ঘাম, রক্ত এবং অমূল্য সময়! আপনাদের জন্য প্রত্যেক ভারতবাসী গর্বিত। আপনাদের কাজের জন্য প্রত্যেক ধর্ম, জাতি ও রাজ্যের মানুষ গর্ব অনুভব করেন।’ রাহুল জানান, তিনিও ভারতীয় শ্রমিকদের মতোই আমজনতার একজন। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই তিনি সকলের পাশে থাকতে চান। রাহুল বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হয়েছে! এবং এই লড়াইয়ে আমরাই জিততে চলেছি!’
২০১৪ সালের ২ জুন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে তেলেঙ্গানার জন্ম হয়। বাকি অংশ নিয়ে গঠিত হয় অন্ধ্রপ্রদেশ। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে গত বছর মার্চে দিল্লির যন্তরমন্তরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের সময় রাহুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই দাবি আদায়ে তিনি সবরকমের সাহায্য করবেন। এখানে সেই প্রসঙ্গ টেনেই অন্ধ্রের মানুষের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তিনি। রাহুল বলেন, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আমরা একসঙ্গে থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বোঝাতে পারব।’
বৃহস্পতিবার দুবাই বিমানবন্দরে রাহুলকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেরলের কংগ্রেস নেতা উমেন চান্ডি এবং প্রবাসে কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যাম পিত্রোদা। ভারতীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে রাহুল বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে দেখা করেন। দুবাই এবং আবুধাবিতে আরব আমিরশাহির কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন। শ্রমিকদের সভায় একজন বলে উঠেন, তিনি দেখতে চান আগামী দিনে রাহুলের নেতৃত্বে ভারতবর্ষ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে।