বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পারেন, সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন নলিনী চিদম্বরম। বেশ কয়েকবার তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। এরপরই তাঁকে কয়েকদফায় জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলার পর শুক্রবার বারাসতের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংয়ের স্ত্রী মনোরঞ্জনা সিংয়ের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই পরিচয় ছিল নলিনী চিদম্বরমের। মনোরঞ্জনাদেবীই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে চিদম্বরমের স্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন। সারদার টাকা তোলার উপর সেবি যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তা নিয়ে সারদাকর্তার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এছাড়া আরওসিও সারদার বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে জানতে চেয়ে একাধিক প্রশ্ন পাঠায়। এই সমস্যা কীভাবে মিটিয়ে নেওয়া যায়, তার চেষ্টা করছিলেন সুদীপ্ত সেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিটে বলেছে, নলিনী চিদম্বরম সারদাকর্তাকে আশ্বস্ত করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তা তিনি ম্যানেজ করে দেবেন। এর জন্য ২০১০-১২ সাল পর্যন্ত নলিনীদেবী তাঁর কোম্পানির নামে দফায় দফায় টাকা নেন। যার অঙ্ক ১ কোটি ৪০ লক্ষ বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী এবং আরও কয়েকজন ষড়যন্ত্র করে সারদার টাকা নয়ছয় করেছেন। নলিনীদেবী তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, এই টাকা তিনি তাঁর পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ম্যানেজ করে দেওয়ার কথাই বলেননি। তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। চার্জশিট জমা পড়ার পর রাত পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে নলিনীদেবীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, যে টাকা নলিনীদেবীকে দেওয়া হয়েছিল, তা আমানতকারীদের গচ্ছিত রাখা অর্থ। সারদায় প্রতারিত হওয়া আমানতকারীদের অর্থই দেওয়া হয়েছে নলিনীদেবীর কোম্পানিকে। এভাবে টাকা দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। এর দায় এড়াতে পারেন না নলিনীদেবী।