কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
অরুণাচল প্রদেশে ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব করা গেগং আপাং মঙ্গলবার বিজেপি ত্যাগ করেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুধবার তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মমতা নবান্নে জানিয়েছেন, ব্রিগেডের মঞ্চে শুধু আপাং নন, মিজোরামের বিরোধী দলনেতা পু লালদুহাওমা হাজির থাকবেন। ফলে, উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনৈতিক প্রতিনিধিও মোদি বিরোধী মমতা ব্রিগেডে শামিল হতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিহারের আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ তনয় তেজস্বী যাদব, কাশ্মীরের সপুত্র ফারুক আবদুল্লা, দিল্লির আম আদমি পার্টির নেতা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ও তাঁর বাবা জেডিএস নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, এনসিপির শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর ডিএমকে নেতা এম কে স্টালিন, বিজেপি ত্যাগী দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রঘ্ন সিনহা, যশোবন্ত সিনহা, এআইইউডিএফ নেতা অসমের সংসদ সদস্য বদরুদ্দিন আজমল প্রমুখের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, সর্বভারতীয় স্তরে মোদি বিরোধী ঐক্যের ছবিটা স্পষ্ট করে সপ্তদশ লোকসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে ব্রিগেডে। আঞ্চলিক দলগুলির প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বর্তমান লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের যোগদান জাতীয় ক্ষেত্রে মমতার নেতৃত্বের প্রাসঙ্গিকতা বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাজ্যসভার সদস্য তথা এআইসিসির মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি আসছেন রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধি হিসেবে।
মোদি বিরোধী জেহাদে বছর দুয়েক ধরে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতা। রাজ্যে রাজ্যে যে যেখানে শক্তিশালী, সে দলই সেখানে প্রার্থী দিক— এভাবেই একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার মডেলের প্রবক্তা তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্যে সেই মডেল অনুসরণ করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ এবং মায়াবতীর মধ্যে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে একমাত্র মমতারই নিজ রাজ্যে নিরঙ্কুশ আধিপত্য রয়েছে। তাই সংসদে একক শক্তির বিচারে আসন্ন সপ্তদশ লোকসভায় বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া একমাত্র তৃণমূল তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠতে চলেছে। ফলে লোকসভা নির্বাচনোত্তর পর্বে দেশ পরিচালনায় মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূলই যে চালকের আসনে থাকবে, তা প্রায় নিশ্চিত। সেই পটভূমিতেই ব্রিগেড কলকাতায় হলেও আমুদ্রহিমাচলে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।