কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বাস মালিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য বাসের বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। দিন এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বুকিংয়ের সংখ্যা। বাস মালিকদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসার জন্য সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন ট্রেনের উপরে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে সমর্থকদের প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে বাস। সেই মতোই এবারও বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য বেসরকারি বাসে সমর্থকরা জনসভায় আসবেন। মালিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, ব্রিগেড সমাবেশের জন্য শহরে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে, শহর-শহরতলির বহু বাসই ঘরে ফিরে যাবে। কারণ, যানজটে জ্বালানি পোড়ে বেশি। সেই তুলনায় যাত্রী না হওয়ায় বাস চালিয়ে খরচ ওঠে না।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলাগুলির নিয়মিত রুট থেকে সবচেয়ে বেশি বাস উঠেছে। গড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত। একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, সমাবেশের জন্য বড় বাসেরই সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে। তাই এবারও রুট থেকে মিনিবাস তেমন উঠবে না। যানজট তীব্র না হলে সেসব বাস রুটে চলবে। ধর্মতলা চত্বর থেকে একাধিক প্রান্তের জন্য দূরপাল্লার বাস ছাড়বে। সমাবেশের জন্য সেসব বাসেরও একাংশ রুটে চলবে না বলে বাসকর্মীরা শুক্রবার জানিয়েছেন।
এবারে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ব্রিগেডের সমাবেশের জন্য সরকারি বাস ভাড়ায় দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, তাদের কমবেশি শ’দেড়েক বাস ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে। নিগমের এক কর্তা বলেন, শনিবার সাধারণত কাজের দিনের তুলনায় কম বাস চলে। প্রতি শনিবার যত বাস রুটে চলে, আজও তাই চলবে। শনিবার যেসব বাস চলে না, তার একাংশই ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে। তাতে নিগমের আয় বাড়বে। গোটা বাস ‘রিজার্ভ’ করার জন্য যে ভাড়া ধার্য করা রয়েছে, সেই ভাড়াই নেওয়া হয়েছে। এসবিএসটিসির এক কর্তা বলেন, নিগমের নিজস্ব বাস সমাবেশের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়নি। ফ্রাঞ্চাইজি বাস কেউ ভাড়া নিতে চাইলে, দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, সেসব বাসে কোনও পতাকা, ফেস্টুন না লাগাতে বলা হয়েছে। এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, তাদেরও তিনটি বাস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে, দলের নামে তার বুকিং হয়নি।
সমাবেশের দিন যাত্রীদের সুরক্ষা বাড়াতে বিভিন্ন স্টেশনে থাকবে অতিরিক্ত আরপিএফ এবং অফিসাররা। দমদম, এসপ্ল্যানেড ময়দান স্টেশনে থাকবে কমান্ডোও। থাকবে ডগ স্কোয়াডও। আজ বিভ্রাট এড়িয়ে সুষ্ঠু যাত্রী পরিষেবাই লক্ষ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের।