কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
মহাজোটের মহড়া তিনি শুরু করে দিলেন শুক্রবার থেকেই। বিরোধী জোটের রথীরা এদিন সকাল থেকেই একে একে চলে আসায় সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরিয়ে হোটেলে গিয়ে আগত নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিকেল ৫টায় নবান্ন থেকে আচমকাই বেরিয়ে যান তিনি। যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় স্তরের নেতারা এসে গিয়েছেন। আমি দেখা করতে যাচ্ছি।
প্রথমেই তিনি যান সল্টলেক স্টেডিয়ামের গায়ে একটি পাঁচতারা হোটেলে। সেখানে উঠেছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শারদ পাওয়ার। তাঁকে শাল পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান তিনি। তাঁদের সমাবেশে আসার জন্য অভিনন্দনও জানান। তারপর তাঁর গন্তব্য ছিল আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে একটি পাঁচতারা হোটেল। সেখানে একটি স্যুটে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অশীতিপর দেবেগৌড়া এবং অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং। দুজনকেই শাল পরিয়ে বরণ করে নেন মমতা। কুশল বিনিময় করেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়। এরপর তিনি দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতারাও। মমতা তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে অখিলেশের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। সবশেষে তিনি দেখা করেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি মহাজোটের প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রেক্ষাপট নিয়ে কথাবার্তা বলেন।
সভার মূল সুর হিসেবে ব্রিগেডের ব্যাকড্রপে ‘প্রগতিশীল, সশক্ত ও সংযুক্ত ভারত নির্মাণের সংকল্প’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংকল্পের বার্তা নিয়ে এদিনই তিনি আগত নেতাদের সঙ্গে দেখা করে জোট নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর। মমতা বলেই দিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটের পর আঞ্চলিক দলগুলিই দেশে সরকার গড়ার নির্ণায়ক শক্তি হবে। ঘটনাচক্রে মমতার সেই সুরেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেডিএস নেতা দেবগৌড়ার কথায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে স্থায়ী সরকার দেওয়ার যোগ্য ফেডারেল দলগুলি। তবে, কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করেই তা করা উচিত বলে মনে করেন দেবগৌড়া। পরে অখিলেশ বলেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ‘দিদি’ যে বার্তা এখান থেকে দিয়েছেন, তাতে তাঁরাও অংশ নিতে এসেছেন। বিজেপিকে রুখতে এই ঐক্য জরুরি বলে মনে করেন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা।