Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিবেশের আনুকূল্যেই কেবল সফল হতে পারে জিন এডিটিং
মৃন্ময় চন্দ

বিশ্বে প্রথম ‘জিন এডিটিং’ করে জন্মানো দুই যমজ কন্যাসন্তান—লুলু-নানা। চীনের শেনঝেন শহরের সাদার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ‘হে জিয়ানকুই’ জিন সম্পাদনা করে দুই যমজ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। বাবা-মার সূত্রে দু সন্তানের নাকি সম্ভাবনা ছিল এইডসে আক্রান্ত হওয়ার। এইচআইভি, সিসিআর-ফাইভ জিনকে কাবু করে ফেলে, তাই সিসিআর-ফাইভ জিনকে ‘এডিট’ করা হয়েছে। ক্যান্সার থেকে অ্যালঝাইমার্স থেকে সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে অটিজম থেকে ডায়াবেটিস থেকে হার্ট-অ্যাটাক—সব রোগকেই ভ্রূণাবস্থায় নির্মূল করার সম্ভাবনা হাজির দোরগোড়ায়। কারণ সব আদি-ব্যাধির মূলেই যে একমেদ্বিতীয়ম জিন! সম্ভাবনা হাজির এমনকী, সোনালি চুল/নীল চোখের মণি, আইনস্টাইন, শচীন বা মাইকেল জ্যাকসনের মতো ‘ডিজাইনার বেবি’ তৈরিরও! ‘জিন এডিটিং’ এবং ‘জেনেটিকালি মডিফায়েড অর্গানিজম’ কিন্তু একেবারে আলাদা। সর্বাত্মক পুষ্টিগুণান্বিত হওয়া সত্ত্বেও, জেনেটিকালি মডিফায়েড ফল/ফসল গবেষণাগারে হাজারো অগ্নিপরীক্ষার পর সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষের কাছেই তা ব্রাত্য। তেমনি ‘জিন এডিটিং’ নিয়েও ছুঁতমার্গের শেষ নেই।
‘জিন এডিটিং’-এর উদ্ভাবক ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের তন্বী-সুন্দরী জীব-রসায়নবিদ জেনিফার ডুনডা। দু বছর আগে, সতীর্থ ইমানুয়েল শঁপাটির সঙ্গে বার্লিনের ‘ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিট ফর দি সায়েন্স অফ প্যাথোজেনে’ জেনিফার CRISPR-Cas9 (ক্লাসটার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোম রিপিটস-ক্রিসপার অ্যাসোসিয়েটেড প্রোটিন নাইন) পদ্ধতিটি আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে চমকে দেন। কোনও ভাইরাস যখন ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীবকে আক্রমণ করে তখন আক্রান্ত ব্যাকটেরিয়ার ‘ক্রিসপার’ ঠিক তার নিউক্লিয়য়েজ উৎসেচক ‘ক্যাসকে’ ধারালো ছুরির মত ব্যবহার করে ভাইরাসের ডিএনএকে ফালাফালা করে দেয়। ভাইরাসের প্রাণভোমরা তার ডিএনএ, প্রাণভোমরার মৃত্যু মানে ভাইরাসের মৃত্যু। ভাইরাসের ডিএনএর কাটা টুকরোটা ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএর সঙ্গে লেপটে থেকে ‘জেনেটিক মেমরি’ ফর্মেশন করে। ভবিষ্যতে কোনওদিন ওই ভাইরাসটি আর ব্যাকটেরিয়াটিকে পেড়ে ফেলতে পারবে না। কারণ ‘মেমরির’ কল্যাণে ব্যাকটেরিয়া সচেতন, সে জানে কোন পথে সিঁধ কাটবে ভাইরাসটি। ‘ক্রিসপার’ আণবিক কাঁচি বা মলিকিউলার সিজর ‘ক্যাসকে’ গাইড আরএনএ বা gRNA মারফৎ একবারে জিপিএসের ঢঙে অপরিসীম সূক্ষ্মতায় ভাইরাসের ডিএনএর ঘাড়ে নিয়ে ফেলে। ‘ক্যাস’ ঠান্ডা মাথায় হাসতে হাসতে হাসতে ভাইরাল ডিএনএকে জবাই করে। পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটে ভাইরাসটির। জিআরএনএ-র কাঁকড়ার মত স্পষ্ট দুটো দাঁড়া—লক্ষ্যবস্তুকে আঁকড়ে ধরে। ফলে কোনও অবস্থাতেই নিস্তার নেই ভাইরাসের। ক্যাস অনেকটা ‘সুইস নাইফে’র মত, ‘জিন এডিটিং’-এ স্রেফ সুইস নাইফের একমুখী কার্যকারিতাকে বহুমুখী করা হচ্ছে। ক্রিসপার-ক্যাস তখন অপ্রতিরোধ্য ক্রুজ মিসাইল। প্রকৃতির কী আশ্চর্য নৈপুণ্য! মানুষ অভ্রংলিহ বুদ্ধিমত্তায় প্রকৃতির সেই নৈপুণ্যকেই হাতিয়ার করছে।
অভূতপূর্ব সূক্ষ্মতায় জিনের কাটাছেঁড়া করা যায় এই ক্রিসপার-ক্যাস ‘জিন এডিটিং’-এ। রোগজরামুক্ত হতেই পারে গোটা প্রাণী বা উদ্ভিদকুল। সৃষ্টি করা যায় পছন্দসই প্রজাতি, ফিরিয়ে আনা সম্ভব বিলুপ্ত প্রজাতিদেরও। এতদিন যা ছিল ঈশ্বরের একচেটিয়া, বিজ্ঞানীরা তাতেই ভাগ বসাচ্ছেন, স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতিস্পর্ধী হয়ে উঠছেন। সেখানেই সংশয়, আপত্তি, মূলত খ্রিস্টান (বা অন্য) ধর্মযাজকদের, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু—সবটাই ঈশ্বর নির্ধারিত। জার্মলাইন এডিটিং অর্থাৎ শুক্রাণু-ডিম্বাণু-ভ্রূণ-স্টেম সেল রিসার্চ তাদের মতে খোদার ওপর খোদকারি। সুতরাং আমেরিকা সহ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী দেশে ‘জিন এডিটিং’ নিষিদ্ধ। কিন্তু যে মুহূর্তে জেনিফারের গবেষণার খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে লাগল ধর্মগুরুদের রক্তচক্ষুর রোষানলে তাঁর রক্তচাপও বাড়তে লাগল। শঙ্কিত বিশ্ব: মানুষের জিনের চরিত্র পাল্টে গেলে মানুষ কি আর মানুষ থাকবে? জেনিফার এক রাতে স্বপ্ন দেখলেন, তাঁরই এক সতীর্থ তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন, “জেনিফার, তুমি কি ‘ক্রিসপার-ক্যাস টেকনিকটা’ শেখাবে? একজন শিখতে চাইছে”। বন্ধুর সঙ্গে জেনিফার বিরাট এক হলঘরে ঢুকছেন, শেখানোর পালা শুরু হবে। হলঘরে ঢোকামাত্র জেনিফার চমকে উঠলেন, চেয়ারে শুয়োরের মুখোশ পরে বসে আছেন স্বয়ং হিটলার, তাঁকে অভিবাদন জানাবেন বলে। সেমুহূর্ত থেকে তাঁর রাতের ঘুম উড়ে গেল। জীববিজ্ঞানের অদ্যাবধি অবগুণ্ঠিত অমিত সম্ভাবনাময় বিভিন্ন অর্গল-বদ্ধ দরজা সপাটে উন্মোচনের দিশারি ‘জিন এডিটিং’, সেই অত্যুৎকৃষ্ট পদ্ধতিটি নানারকম বিতর্কের চোরাবালিতে শেষপর্যন্ত কি পথ হারাবে? প্রশ্ন উঠবে অর্বাচীন অনৈতিকতার? আশঙ্কিত জেনিফার শুরু করলেন ‘টেড টক’ (টেকনোলজি-এন্টারটেইনমেন্ট-ডিজাইন)। ২০১৫তে ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় খুঁটিনাটি অনুষঙ্গে ‘জিন এডিটিং-র’ অভাবনীয় সম্ভাবনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করলেন। ২০১৭তে তাঁরই ছাত্র স্যামুয়েল স্টার্নবার্গের সঙ্গে লিখলেন সাড়াজাগানো বই “এ ক্র্যাক ইন ক্রিয়েশন: জিন এডিটিং অ্যান্ড দি আনথিঙ্কেবল পাওয়ার টু কনট্রোল ইভোলিউশন”। ক্রিসপার-ক্যাস যুগলবন্দি কী অসাধ্যসাধন করতে পারে তার কয়েক ঝলক প্রাঞ্জলভাবে বর্ণনা করলেন। যেমন গোরু-ছাগল-ভেড়া-মুরগির মাংস ‘জিন এডিটিং’-এর দৌলতে হবে আরও স্বাস্থ্যকর-সুস্বাদু, থাকবে না কোনওরকম সংক্রমণের ভয়, ডিম-দুধ-বেগুন হবে অ্যালার্জি-রহিত, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন ফুরোবে। মশাদের ‘জিন এডিটিং’ করে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি-এনসেফেলাইটিস প্রতিরোধ করা যাবে। ইঁদুর বহন করবে না প্লেগ বা লাইম ডিজিজ। শুয়োরের ‘জিন এডিটিং’-এর ফলে তাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি-হার্ট-লাঙস মানুষের দেহে সরাসরি প্রতিস্থাপন করা যাবে। সম্ভাবনা থাকবে না শরীরের প্রত্যাখ্যানের। মানবশরীরে কেবল একটা জিনের মিউটেশনের ফলে হতে পারে সিষ্টিখ ফাইব্রোসিস, হান্টিংটন ডিজিজ বা সিকল সেল অ্যানিমিয়া। প্রাপ্তবয়সে ‘সোমাটিক জিন এডিটিং’ দ্বারা কোষের ভেতরের জিনের গড়বড়কে শুধরে দেওয়া যায়। এডিটিংয়ের পরে রোগমুক্তি ঘটবে চিরতরে। এডিটিংয়ের সুফল বা কুফল, কোনওটাই পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হবে না। কিন্তু অ্যালঝাইমার্স, ডায়াবেটিস বা কিছু ক্যান্সারের বীজকে শুক্রাণু/ডিম্বাণু/সদ্য-সৃষ্ট ভ্রূণেই বিনষ্ট করা প্রয়োজন, যাতে আগামীর শিশুটির কোনও সম্ভাবনাই না-থাকে ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্স-ডায়াবেটিস/ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার। এক্ষেত্রে জিন এডিটিংয়ের সুফল পরবর্তী প্রজন্মে অবশ্যই বাহিত হবে। এটিতে শিশুর হাড়ের ঘনত্ব যেমন বাড়ানো যাবে (খেলোয়াড়দের আবশ্যিক) তেমনি বাড়ানো সম্ভব শারীরিক সক্ষমতা, সম্ভব নীল বা সোনালি চুলের মর্জিমাফিক ‘ডিজাইনার বেবি’ সৃষ্টিও।
সত্যিই কি সম্ভব ‘ডিজাইনার বেবি’ সৃষ্টি? ইমরি ইউনিভার্সিটির ‘রলিন্স স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’র ট্রান্সলেশনাল এপিডেমোলজির অধ্যাপিকা সেসেইল ইয়ানসেন বলছেন ‘জিন এডিটিং’-এ কখনওই মর্জিমাফিফ সন্তানলাভ সম্ভব নয়। বুদ্ধিমত্তা-স্বভাব-আচরণ-গানের গলা-কর্মদক্ষতার মত বিশেষ চরিত্রলক্ষণ বা ‘জেনেটিক ট্রেটস’ কখনওই ‘জিন এডিটিং’ দ্বারা সম্ভব নয়। সন্তান বাবা-মা-র গুণাবলি নিয়েই জন্মাবে। আইনস্টাইনের মত প্রখর বুদ্ধিমত্তা শুধু ‘জিন এডিটিং’-এ সম্ভব নয়, পরিবেশও সমানভাবে দায়ী সেই ব্যতিক্রমী বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ ও বিচ্ছুরণে। জিন ও পরিবেশ হাতে হাত মিলিয়ে চললে তবেই সম্ভব শচীন/মাইকেল জ্যাকসনের অপার্থিব সৃষ্টি। বিটা-থ্যালাসেমিয়া/সিকল সেল অ্যানিমিয়া/ড্যুসেন মাসকুলার ডিসট্রফির কারণ একটা জিনের মিউটেশন। ‘জিন এডিটিং’-এ খুব সহজে তার নিরাময় সম্ভব। ‘জিন এডিটিং’ তখনই সম্ভব যখন বাবা-মার সূত্রে রোগটির ১০০% আত্মপ্রকাশ ঘটছে অপত্যে। গত ৫০ বছরের ‘উত্তরাধিকারের ইতিহাস’ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে মাত্র গুটিকয় জিনঘটিত রোগের বিস্তারের হার বাবা-মার থেকে সন্তানসন্ততিতে ৯০ শতাংশের বেশি। সেই সব ক্ষেত্রেই ভ্রূণাবস্থায় ‘জিন এডিটিং’ সফল হতেই পারে। কিন্তু বুদ্ধিমত্তা-প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের ক্ষেত্রে এই হার ৫০%, পেশিশক্তির ক্ষেত্রে ৭০%, ব্যক্তিত্ব-স্বভাব-গানের গলা-কর্মদক্ষতা-আচরণের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৪৫%। সুতরাং সর্বাধুনিক ক্রিসপার-ক্যাস পদ্ধতিতেও সম্ভব নয় কাঙ্ক্ষিত সন্তান লাভ। শেষ হাসিটা হাসবে প্রকৃতিই। একটা বিকল জিনের সফল সম্পাদনা নিশ্চয় সম্ভব; অধিকাংশ আধুনিক রোগ কিন্তু একটা জিনে সম্পৃক্ত নয়। অনেকগুলো জিন দায়ী বর্তমানের বেশিরভাগ ‘লাইফস্টাইল ডিজিসের’ মূলে। সেক্ষেত্রে ‘জিন এডিটিং’-এর ভূমিকা নীরব দর্শকের। জিন নয়, বিরল প্রতিভাধর হতে গেলে প্রয়োজন তাই শিক্ষা-সংস্কৃতি, জীবন-চর্যা ও পরিবেশের রগড়ানি, যা একেবারেই জিনবহির্ভূত।
17th  January, 2019
মমতার মহাজোট: শনিবারের ব্রিগেড কি মোদিজির চিন্তা বাড়িয়ে দিল? 
শুভা দত্ত

যাকে বলে একেবারে নক্ষত্র সমাবেশ। জনপ্লাবনে উদ্বেল শনিবারের ব্রিগেড ছিল প্রকৃত অর্থেই তারায় তারায় খচিত। আর সেই তারা ভরা ব্রিগেডে অবিসংবাদিতভাবেই মধ্যমণি ছিলেন মহাতারকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ডাকেই দেশের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম থেকে মোদি-বিরোধী নেতানেত্রীরা শনিবার সমবেত হয়েছিলেন কলকাতার ব্রিগেড সভায়। 
বিশদ

রাফাল নিয়ে বিতণ্ডা ভারতের জন্য সুখকর নয়
মৃণালকান্তি দাস

মঞ্চে ১৪টি বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা। হাত ধরে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারই মাঝে উড়ছে রাফাল। তাতে সওয়ার নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। দিল্লির জনসভা থেকে দাবি উঠল, ‘রাফালে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পর সংসদ ভবনে বসার অধিকার হারিয়েছে মোদি সরকার।’
বিশদ

19th  January, 2019
গরিবের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 ভারতের প্রতিটি সরকার গরিব খোঁ‌জার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে সবথেকে কঠিন যে অঙ্ক প্রতিটি সরকার কষে চলেছে সেটি হল গরিবের সংজ্ঞা কী? কাকে বলে গরিব? এটাই জানা যাচ্ছে না। বিশদ

18th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
একনজরে
নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলবেন ঋষভ পন্থ। মূলত বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস পরখ করে নিতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ব্রিগেডগামী বাসের ধাক্কায় আহত হলেন বিধাননগর পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান। শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে আঘাত গুরুতর নয়। ...

মেক্সিকো, ১৯ জানুয়ারি (এএফপি): শুক্রবার মধ্য মেক্সিকোয় তেল চুরি করতে গিয়ে পাইপলাইনে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭১ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বালতি ও ক্যান নিয়ে স্থানীয়রা পাইপ থেকে গ্যাসোলিন চুরি করছিলেন। সেই সময়ে হঠাৎ পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। ...

সায়ন্ত ভট্টাচার্য, কলকাতা: ব্রিগেডের ভিড় দেশের যে কোনও সমাবেশকে ছাপিয়ে যায়। এবার তা চাক্ষুষ করে তাঁরা বুঝলেন, কথাটা কতখানি সত্য! জীবনে প্রথমবার কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে দার্জিলিং থেকে এসেছেন ভুটিয়া সম্প্রদায়ের পালগন ভুটিয়া এবং তাঁর সঙ্গীরা। বললেন, এত ভিড় যে কোনও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৭৪ টাকা ৯৪.০১ টাকা
ইউরো ৭৯.৬৬ টাকা ৮২.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১, ১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১, ৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯, ২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯, ৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১৯/৫১ দিবা ২/১৯। নক্ষত্র- আর্দ্রা ৪/২১ দিবা ৮/৭ পরে পুনর্বসু ৫৭/২৯ শেষরাত্রি ৫/২২, সূ উ ৬/২২/৫২, অ ৫/১২/১০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ১০/২৬ গতে ১/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৫ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১/৪২/২৩। আর্দ্রানক্ষত্র ৭/৩৪/১২। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/৯/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৭/৫৫ থেকে ঘ ৯/৫৯/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৫/৩৮ থেকে ৮/৪১/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬/৪১ থেকে ১১/৪৭/১৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪৭/১৬ থেকে ১/৭/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/৪১ থেকে ঘ ৩/৬/৬ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেমে সফলতা। বৃষ: অগ্নিবিদ্যুৎ থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মিথুন: বিদ্যার্জনে শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু১৯৭২: নতুন রাজ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

দিনহাটায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ ধৃত ১ 

03:22:34 PM

হিমাচলের কেলং ভ্যালিতে ব্যাপক তুষারপাত 

03:21:00 PM

হায়দরাবাদে বিমানবন্দর থেকে ৬৬ লক্ষ টাকার সোনার বাট সহ গ্রেপ্তার ১ 

03:17:00 PM

সিরিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বিস্ফোরণ, মৃত ৩ 

03:03:00 PM