কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
দু’হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ— গত বছরের ২১ জুলাই, মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনের দলীয় সুর বেঁধে দেওয়ার দিন, ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানিয়েছিলেন, বিভাজন আর বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারির সেই সমাবেশ থেকে গর্জে উঠবে গোটা দেশ। সেই প্রেক্ষিতেই মমতার আহ্বানে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গোটা দেশের সব প্রান্তের তাবড় বিরোধী নেতারা এক এক করে শুক্রবার থেকেই উপস্থিত হতে শুরু করেছেন জোটের সূচনা হওয়ার শহর কলকাতায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টি আর বালু, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, মিজোরামের বিরোধী দলনেতা পু লালধুয়ামা, কে নেই সেই তালিকায়। বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন টিম মমতার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সঙ্ঘমিত্রা মমতাজ, মণীশ গুপ্ত, সব্যসাচী দত্ত আর মমতার আপ্তসহায়ক রতন মুখোপাধ্যায়ের মতো আরও অনেকে। বিদ্রোহী বিজেপি এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা, যশোবন্ত সিনহা, মায়াবতীর প্রতিনিধি সতীশ মিশ্র, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আরজেডি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তেজস্বী যাদবের মতো আরও অনেকে কেউ বেশি রাতে কেউ আবার আজ, শনিবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। সমাবেশের অনেক আগেই সবমিলিয়ে তৃণমূলের ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি, আক্ষরিক অর্থেই গোটা দেশের বিরোধী মহাজোটের আকার নিয়েছে।
এদিন নবান্নের সরকারি কাজকর্ম সেরে কলকাতায় পৌঁছে যাওয়া সর্বভারতীয় নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উত্তরীয় আর পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। মহাজোটের রূপরেখা নিয়ে এইচ ডি দেবেগৌড়া, শারদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদবের মতো নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে নেন তিনি। সাংবাদিকদের জানান, এত সব প্রবীণ নেতা, তাঁদের সঙ্গে দেখা করাটা অবশ্যই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মমতা এরপর যান ব্রিগেডে সমাবেশের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা উৎসাহী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে তখন ব্রিগেড ঠাসা। তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মমতা। রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই জোটাতে উৎসাহী কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ তখন আশ্রয় নিতে গিয়েছিল ব্রিগেড মঞ্চের নীচে। নিরাপত্তার খাতিরে তাতে আপত্তি জানায় কলকাতা পুলিস। শেষে খোদ মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন বিষয়টিতে। সাংবাদিকদের তৃণমূল নেত্রী বলেন, এত ঠান্ডায় কোথায় যাবে তারা। আমি পুলিসকে বললাম, রাতটুকু থাকতে দিন, সকালেই বেরিয়ে যাবে ওরা। নেত্রীর এহেন মানবিক অবস্থানকে ঘিরে ব্রিগেডে তখন শুধু তাঁর নামেই জয়ধ্বনি।