কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দার্জিলিং থেকে ব্রিগেডের সমাবেশের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিলেন ভুটিয়া সম্প্রদায়ের ২৬০ জন। শুক্রবার তাঁরা কলকাতায় পৌঁছন। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের অনেকেই দেখা করতে এসেছিলেন বলে জানালেন তাঁরা। বললেন, আমাদের একবার বলা হয়েছে, দিদি (তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ডাক দিয়েছেন। ব্রিগেডে যেতে হবে। এক মিনিটও আমরা ভাবিনি। দু’সেকেন্ডের মধ্যে সমাবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, বললেন লাপচাং ভুটিয়া। তাঁর মতে, গত কয়েকবছরে ভুটিয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য টানা কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় থমকে যাওয়া কাজে গতি এনেছে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেছেন ভুটিয়া ডেভেলপমেন্ট পর্ষদ। ভুটিয়া সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য প্রাথমিক স্তরে তাদেরই ভাষাতে পুস্তক ছাপার কাজ চলছে। সবমিলিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কর্ত্রীর প্রতি তাঁরা রীতিমতো কৃতজ্ঞ বলেই জানালেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষ।
ময়দানে তখন হেভিওয়েট তারকারা ভাষণ দিচ্ছেন। ভুটিয়া সম্প্রদায়ের ১৫-২০ জনকে দেখা গেল কালীঘাট ক্লাবের তাঁবুর সামনে দিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্ট গেটের দিকে হেঁটে যেতে। তাঁদের দেখে অনেকেই এগিয়ে এলেন। তাঁদের সাজপোশাকও ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদ। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই তাঁদের দেখে দৌড়ে এলেন। মেলালেন হাত। বাদ গেল না সেলফি তোলাও। ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরেই ওই সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা এসেছিলেন। পালগন ভুটিয়া বললেন, আমরা সকাল সকাল সমাবেশে ঢুকে পড়েছিলাম। কোনও দিন এখানে ভিড় কেমন হয় দেখিনি। এত ভিড়ে আমরা অভ্যস্ত নই। তাই ভিড় থেকে বেরিয়ে পড়ে আশপাশ ঘুরে দেখছি। রাজ্য কীভাবে চালাতে হয়, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শেখা উচিত। পাহাড়ের উন্নয়ন তো ব্রাত্যই ছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়ায় সেখানে আমরা স্বস্তিতে আছি। তাহলে দিদিকে কেন ‘শৈলরানি’ বলা হবে না, বলতে পারেন!