কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
সকাল ১১ টার পর ডানকুনি মোড় হয়ে ফিরতে শুরু করে তৃণমূল সমর্থক বোঝাই একের পর এক বাস ও ছোটগাড়ি। ফেরার সময় ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে এবং ডানকুনি-আরামবাগ রাস্তার ধারে গাড়ি থামিয়ে দুপুরে কর্মীদের খাওয়ার জন্য রান্না চাপিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ব্রিগেডে ঢুকতে না পেরে ফিরে আসা বিভিন্ন জেলার কর্মী-সমর্থককে আমরা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। অবশ্য কেউ কেউ নিজ উদ্যোগেও রান্না করে খেয়েছেন।
এদিন ভোর থেকেই জিটি রোড, দিল্লি রোড ও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হুগলি, বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়ার তৃণমূল সমর্থক বোঝাই বাস ব্রিগেডের দিকে যেতে শুরু করে। ভোর থেকেই ডানকুনি চৌমাথা ও চণ্ডীতলার রাস্তায় দলীয় সমর্থকদের জন্য সহায়তা ক্যাম্প করে তৃণমূল। ব্রিগেড-যাত্রীদের পানীয় জল, বিস্কুটের প্যাকেট ও প্রাতঃরাশ হিসেবে ছোলামুড়ির প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। কলকাতার রাস্তা ফাঁকা রাখতে এদিন ভোর ৪টের পর থেকেই ডানকুনি চৌমাথার কাছ থেকে পণ্যবাহী যানবাহন কলকাতার দিকে ঢোকা বন্ধ করে দেয় পুলিস। কিন্তু তৃণমূল সমর্থক বোঝাই ব্রিগেডমুখী গাড়ির চাপে সকাল ৮টা নাগাদ সাঁতরাগাছি থেকে ডানকুনি পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস কর্মীদের পাশাপাশি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবকরাও রাস্তায় নামেন। ইতিমধ্যেই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চাউর হয়ে যায় যে, ব্রিগেড প্রায় ভরে গিয়েছে। ভেতরে আর ঢোকার জায়গা নেই। তাই তার পরে সভাস্থলে না গিয়ে বহু গাড়ি ফেরত আসতে শুরু করে। তৃণমূল সমর্থকদের ওই সমস্ত গাড়িগুলি ডানকুনি টোলপ্লাজা পার করার পরেই বর্ধমানগামী লেনের ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপরেই গাড়িতে থাকা কর্মীরা দুপুরের খাবারের জন্য কোথাও সার্ভিস রোডে আবার কোথাও ফাঁকা মাঠে গ্যাসস্টোভ ও রান্নার উপকরণ নামিয়ে রান্না শুরু করেন। ব্রিগেডের সভায় যেতে না পেরে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া ও হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন সমর্থকরা। পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থেকে আসা একটি বাসের তৃণমূল কর্মী জগবন্ধু পারিয়াল বলেন, ব্রিগেডের সভায় যাওয়ার জন্য আমরা ভোর ৫টা নাগাদ রওনা হয়েছিলাম। আমরা যখন সাঁতরাগাছির কাছে তখন খবর পাই যে, ব্রিগেড পর্যন্ত সামনে একইভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত সভাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। শুধু আমরাই নয়, আমাদের আগে ও পরে বহু বাস ঘুরে আসে। এরপর আমরা ডানকুনি টোল প্লাজার পাশে মাংস-ভাত রান্না করছি।