Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার মহাজোট: শনিবারের ব্রিগেড কি মোদিজির চিন্তা বাড়িয়ে দিল? 
শুভা দত্ত

যাকে বলে একেবারে নক্ষত্র সমাবেশ। জনপ্লাবনে উদ্বেল শনিবারের ব্রিগেড ছিল প্রকৃত অর্থেই তারায় তারায় খচিত। আর সেই তারা ভরা ব্রিগেডে অবিসংবাদিতভাবেই মধ্যমণি ছিলেন মহাতারকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ডাকেই দেশের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম থেকে মোদি-বিরোধী নেতানেত্রীরা শনিবার সমবেত হয়েছিলেন কলকাতার ব্রিগেড সভায়। কে ছিলেন না সেখানে? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া থেকে শুরু করে শরদ পাওয়ার, যশোবন্ত সিনহা, চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, শত্রুঘ্ন সিনহা, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেওয়ানি, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি—কে নয়? কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ‘গুরুতর কাজে’ আটকে পড়ায় আসতে পারেননি। কিন্তু চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই সমাবেশকে সর্বান্তকরণে সমর্থন জানিয়েছেন। এবং সেই চিঠিতে লিখেছেন, মমতাদির ওই ঐক্যের মঞ্চ থেকে আশা করি আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারতের বার্তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। বাংলাই চিরকাল পথ দেখায়, তাই এখান থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হোক। শুধু তাই নয়, মমতার সমাবেশে তিনি প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিলেন তাঁর দুই বরিষ্ঠ নেতা—অভিষেক মনু সিংভি আর মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও মমতাকে রাহুলের এমন সর্বান্ত সমর্থন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, শনিবারের ব্রিগেডে অখিলেশ স্বয়ং এবং মায়াবতী প্রতিনিধি পাঠিয়ে যোগই তো শুধু দেননি, তাঁদের তরফে অবধারিতভাবেই মমতার নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থাও ঘোষিত হয়েছে।
এবং সেটা যে প্রত্যাশিতই ছিল তা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল কেন সাধারণ জনতাও মানেন। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‌্যালিকে রাহুল গান্ধী ওইভাবে সমর্থন জানালেন—সে তো অমনি অমনি নয়! যেভাবে শনিবার সারা দেশের তাবড় বিরোধী নেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এবং জননেত্রী মমতাকে সামনে রেখে মোদিরাজ খতমের ডাক দিয়েছেন তাতে আসন্ন লোকসভা যুদ্ধের রাশ ও সেনাপতিত্ব কার হাতে থাকছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন রাহুলজি যদি গোঁ ধরে তাঁর ইউপিএ শরিকদের নিয়ে আলাদা লড়তে চলতেন, তবে সেটা যে রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হতো না—সেটা বলাই বাহুল্য। রাহুল গান্ধীও নিশ্চয়ই সেটা বুঝেছেন। আর তাই মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‌্যালিকে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করে চিঠি লিখে ও সমাবেশে দলীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে রাজনৈতিক দিক থেকে সময়োচিত কাজটি করেছেন।
একমাত্র ব্যতিক্রম সিপিএম সমেত বামেরা। তাঁরা মমতার সমাবেশের ধারপাশ দিয়ে যাননি। গোটা দেশের মোদি-বিরোধী শিবির যখন মমতার নেতৃত্বে এককাট্টা, লোকসভা মহাযুদ্ধে পদ্মদলের সুপ্রিমোকে পরাস্ত করার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার নেতৃত্বে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনও এ রাজ্যের সিপিএম মমতা-মোদি আঁতাঁতের উদ্ভট তত্ত্ব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে আর জল মাপছে! মোদি-বিরোধী লড়াইতে ইতিমধ্যেই সিপিআই রাহুল গান্ধীর হাত ধরার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু, সিপিএম এখনও মনে হচ্ছে দোলাচলে—রাহুল গান্ধী, না এই মহাজোট—কোনদিকে যাবে স্থির করে উঠতে পারছে না! তবে, শনিবারের ব্রিগেড জনসমুদ্র এবং তারকাখচিত মঞ্চে জননেত্রী মমতার উজ্জ্বল উপস্থিতি ও একচ্ছত্রতা দেখে তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন—হাওয়া কোন দিকে বইতে শুরু করেছে। কিন্তু, সেই কঠিন সত্যিটা কি মুখে মানা যায়! ২০১১ সালের ক্ষতটা যে এখনও দগদগে।
তার ওপর এত গালি এত ব্যঙ্গবিদ্রুপ এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য সত্ত্বেও সিপিএম দেখছে, আসমুদ্রহিমাচল এই বাংলা এখনও মমতায় মুগ্ধ, মমতায় মগ্ন। জাতীয় স্তরেও এই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে বহুদিন। আর যত দিন যাচ্ছে তার ব্যাপ্তি ও গভীরতা যেন বেড়েই চলেছে। এবং যেভাবে বাড়ছে তাতে দেশের প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নটা বাস্তবায়িত হওয়াটাকেও যেন আজ আর তেমন অসম্ভব বলে বোধ হচ্ছে না! পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে কি আমবাঙালির দরবারে ওই স্বপ্ন নিয়ে চর্চাটাও তাই যেন দ্রুত বর্ধমান! এমন পরিস্থিতিতে সিপিএমের মতো একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপের পক্ষে কি মমতার মতো রাজনৈতিক শত্রুকে নেত্রী বলে মানা সম্ভব! সে ঔদার্য সেই বিচক্ষণতা দেখানোর ক্ষমতা কি আজ আর বাম শিবিরে অবশিষ্ট আছে! অতএব যা হওয়ার তাই হয়েছে—দূর থেকে তৃণমূল নেত্রীকে গালি পেড়েই ক্ষান্ত থেকেছে সিপিএম ও তার বন্ধুরা, শনিবারের সমাবেশের ধারকাছে ঘেঁষেনি। কিন্তু, মমতার মহাসমাবেশ নিয়ে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের এহেন আচরণকে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞজনেদের অনেকেই সুবুদ্ধি সুচিন্তার পরিচয় বলে মনে করছেন না। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে রাজ্য-রাজনীতিতে তো বটেই, জাতীয় রাজনীতিতেও বামেরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে, প্রাসঙ্গিকতা হারাবে।
কেননা, সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে গোটা দেশের বিরোধী শিবিরের নানা মহলের নেতানেত্রীরা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মোদিরাজ উৎখাতের রাজনৈতিক যুদ্ধে আজ মমতার সমকক্ষ প্রধান সেনাপতি মেলা ভার। মহাজোটের অনেকেই রাজনৈতিক যুদ্ধে বহু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দক্ষ কিন্তু লড়াকু মমতা অনন্য, অদ্বিতীয়। একক প্রচেষ্টায় টানা ৩৪ বছরের লাল দুর্গ ধূলিসাৎ করে যিনি সিপিএমের মতো ধুরন্ধর পার্টিকে লিলিপুটে পরিণত করতে পারেন এবং মাত্র ক’টা বছরে একটা রুগ্ন বিবর্ণ রাজ্যকে এমন উজ্জ্বল বিশ্ববাংলায় রূপান্তরিত করতে পারেন তাঁর রাজনৈতিক প্রশাসনিক যোগ্যতা দক্ষতা প্রশ্নাতীত। লোকসভা যুদ্ধে এবার তাই বিরোধী শিবিরে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর চেয়েও প্রকট হয়ে উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার মুখ। মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা ভোটফল প্রকাশের পর ঠিক হবে বলে রাহুল গান্ধী ঘোষণা করলেও বিরোধী শিবিরের সকলেই বুঝতে পারছেন পরিবেশ অনুকূল হলে সেক্ষেত্রে মমতার নামটিই সবার আগে উঠে আসবে।
কেননা, এই মুহূর্তে ধারে-ভারে, প্রভাব-প্রতিপত্তিতে এবং রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কর্মকুশলতায় রাজ্যে তো বটেই, জাতীয় স্তরেও মমতার বিকল্প নেই। তাঁর মা-মাটি-মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ স্বচ্ছ-সৎ পরিশ্রমী ভাবমূর্তিও তুলনারহিত। রাজ্যবাসী থেকে বাদবাকি দেশজনতা—সকলের কাছেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আজ অপ্রতিরোধ্য। সুতরাং, তিনিই যে প্রথম পছন্দ হবেন তাতে সন্দেহ কি? অন্যদিকে, গত চার-সাড়ে চার বছরের গেরুয়ারাজে তিনি বা তাঁর সরকার যা-ই করুন, দেশের মানুষ যত রুষ্টই হোন তাঁর প্রতি—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো অমন বলিষ্ঠ কৌশলী সুবক্তা রাজনীতিককে ভোটযুদ্ধের ময়দানে ধরাশায়ী করা যে সহজ কাজ নয় সেটা বিরোধী শিবিরে সকলেই বোঝেন। সেক্ষেত্রে আর পাঁচজনের থেকে মমতার নেতৃত্ব যে অনেক অনেক বেশি কার্যকরী হবে সেটাও বোঝেন। এহেন মমতা বা তাঁর নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে উপেক্ষা করে বামেরা যাবেন কোথায়?
সে যেখানে যেতে চান যান, আমাদের বলার কী আছে? আমরা কেবল ব্রিগেডের মহাসমাবেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান ও গুরুত্বটা বোঝার চেষ্টা করলাম। সেটা সিপিএম কংগ্রেস কে কতটা মানবে, না মানবে তাদের ব্যাপার।
কিন্তু প্রশ্ন হল, শনিবারের ব্রিগেড ও মমতার মহাজোটের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান কি মোদিজির চিন্তা আর এক প্রস্থ বাড়িয়ে দিল? বাড়িয়ে দিলেও সেটা অস্বাভাবিক নয়। এমনিতেই রাফাল থেকে নীরব-চোকসি-মালিয়া থেকে মূল্যবৃদ্ধি নোটবন্দি থেকে সিবিআই-আরবিআই নিয়ে জেরবার প্রধানমন্ত্রী। তার ওপর তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ সোয়াইন ফ্লুর দাপটে হাসপাতালে, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি চিকিৎসা করাতে বিদেশে! এবং যতদূর শুনেছি, আরও কে কে যেন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। সব মিলিয়ে বলাই যায়, ২০১৯ লোকসভা মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি রোগভোগের জ্বালাও সামলাতে হচ্ছে পদ্মশিবিরের মহানেতা মোদিজিকে। তার ওপর মহামান্য আদালতের নির্দেশে এই বঙ্গে বিজেপি’র রথযাত্রাও রদ হল। মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপি’র এবং যতদূর খবর তাই নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপের তরজা শুরু হয়েছে গেরুয়াদলের অন্দরমহলে! এমন অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দেশের তাবড় বিরোধী নেতাকে এক মঞ্চে, এক ছাতার তলায় এনে দাঁড় করালেন এবং বিপুল জনজোয়ারের তুমুল উচ্ছ্বাসে ভেসে শনিবারের ব্রিগেড থেকে একযোগে মোদি জমানা খতম
করে নতুন ঐক্যবদ্ধ জনদরদি ভারত গড়ার ডাক দিলেন—তাতে ২০১৯ ভোটযুদ্ধের রাজনৈতিক পারদ তো চড়লই, মোদিজির চিন্তাও কি একটু
বাড়ল না! কী মনে হয়? 
রাফাল নিয়ে বিতণ্ডা ভারতের জন্য সুখকর নয়
মৃণালকান্তি দাস

মঞ্চে ১৪টি বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা। হাত ধরে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারই মাঝে উড়ছে রাফাল। তাতে সওয়ার নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। দিল্লির জনসভা থেকে দাবি উঠল, ‘রাফালে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পর সংসদ ভবনে বসার অধিকার হারিয়েছে মোদি সরকার।’
বিশদ

19th  January, 2019
গরিবের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 ভারতের প্রতিটি সরকার গরিব খোঁ‌জার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে সবথেকে কঠিন যে অঙ্ক প্রতিটি সরকার কষে চলেছে সেটি হল গরিবের সংজ্ঞা কী? কাকে বলে গরিব? এটাই জানা যাচ্ছে না। বিশদ

18th  January, 2019
পরিবেশের আনুকূল্যেই কেবল সফল হতে পারে জিন এডিটিং
মৃন্ময় চন্দ

বিশ্বে প্রথম ‘জিন এডিটিং’ করে জন্মানো দুই যমজ কন্যাসন্তান—লুলু-নানা। চীনের শেনঝেন শহরের সাদার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ‘হে জিয়ানকুই’ জিন সম্পাদনা করে দুই যমজ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। বাবা-মার সূত্রে দু সন্তানের নাকি সম্ভাবনা ছিল এইডসে আক্রান্ত হওয়ার।
বিশদ

17th  January, 2019
নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।  
বিশদ

15th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
একনজরে
সায়ন্ত ভট্টাচার্য, কলকাতা: ব্রিগেডের ভিড় দেশের যে কোনও সমাবেশকে ছাপিয়ে যায়। এবার তা চাক্ষুষ করে তাঁরা বুঝলেন, কথাটা কতখানি সত্য! জীবনে প্রথমবার কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে দার্জিলিং থেকে এসেছেন ভুটিয়া সম্প্রদায়ের পালগন ভুটিয়া এবং তাঁর সঙ্গীরা। বললেন, এত ভিড় যে কোনও ...

নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলবেন ঋষভ পন্থ। মূলত বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস পরখ করে নিতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা।   ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: সব্জি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে জিয়াগঞ্জ সদর ঘাট সংলগ্ন সব্জি বাজারের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ৬০০০বর্গ ফুটের ছাদ ঢালাই করতে ৫০লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।  ...

নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি (পিটিআই): আইআরসিটিসির দুর্নীতি মামলায় আপাত স্বস্তি পেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। শনিবার দিল্লির এক আদালত লালুপ্রসাদের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৭৪ টাকা ৯৪.০১ টাকা
ইউরো ৭৯.৬৬ টাকা ৮২.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১, ১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১, ৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯, ২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯, ৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১৯/৫১ দিবা ২/১৯। নক্ষত্র- আর্দ্রা ৪/২১ দিবা ৮/৭ পরে পুনর্বসু ৫৭/২৯ শেষরাত্রি ৫/২২, সূ উ ৬/২২/৫২, অ ৫/১২/১০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ১০/২৬ গতে ১/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৫ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১/৪২/২৩। আর্দ্রানক্ষত্র ৭/৩৪/১২। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/৯/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৭/৫৫ থেকে ঘ ৯/৫৯/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৫/৩৮ থেকে ৮/৪১/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬/৪১ থেকে ১১/৪৭/১৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪৭/১৬ থেকে ১/৭/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/৪১ থেকে ঘ ৩/৬/৬ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেমে সফলতা। বৃষ: অগ্নিবিদ্যুৎ থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মিথুন: বিদ্যার্জনে শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু১৯৭২: নতুন রাজ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

দিনহাটায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ ধৃত ১ 

03:22:34 PM

হিমাচলের কেলং ভ্যালিতে ব্যাপক তুষারপাত 

03:21:00 PM

হায়দরাবাদে বিমানবন্দর থেকে ৬৬ লক্ষ টাকার সোনার বাট সহ গ্রেপ্তার ১ 

03:17:00 PM

সিরিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বিস্ফোরণ, মৃত ৩ 

03:03:00 PM